ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

টাকার বিনিময়ে ‘হঠাৎ নেতা’ রাজন, আহ্বায়ক-সদস্য সচিবকে শোকজ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৩
টাকার বিনিময়ে ‘হঠাৎ নেতা’ রাজন, আহ্বায়ক-সদস্য সচিবকে শোকজ

লক্ষ্মীপুর: রায়পুর উপজেলার কেরোয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। টাকার বিনিময়ে ‘হঠাৎ নেতা’ হওয়ার অভিযোগ উঠেছে রাজন হোসেন রাজু নামে একজনের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আকরাম হোসেন ও ফাহাদ হোসেনসহ একাংশের নেতাকর্মীরা। তাদের অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে উপজেলা নেতারা তাকে আহ্বায়ক বানিয়েছেন। অবশ্য, কত টাকা এ ক্ষেত্রে তারা নিয়েছেন সেটি নিশ্চিত নন কেউ।

এ অবস্থায় বিধি বহির্ভূত ও ত্রুটিপূর্ণ কমিটি দেওয়ায় সোমবার (৩ এপ্রিল) বিকেলে রায়পুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক শাহরিয়ার ফয়সাল ও সদস্য সচিব আরিফুর রহমান মিস্টারকে কারণ দর্শানো নোটিশ (শোকজ) দেওয়া হয়েছে। আগামী ৭ দিনের মধ্যে জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি মহসিন কবির স্বপন ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ হারুনের কাছে এ ব্যাপারে লিখিত আকারে জমা দিতে তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ১ এপ্রিল রাজন হোসেন রাজুকে আহ্বায়ক ও জাহাঙ্গীর হোসেনকে সদস্য সচিব করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট কেরোয়া ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের কমিটি ঘোষণা করা হয়। দলটির উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক শাহরিয়ার ফয়সাল ও সদস্য সচিব আরিফুর রহমান মিস্টার এ কমিটির অনুমোদন দেন।

অন্যদিকে নতুন কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আকরাম হোসেন ও ফাহাদ হোসেন জানান, রাজু রাজনীতিতে সক্রিয় নন। তিনি ঢাকায় কাপড়ের ব্যবসা করেন। কোনো আন্দোলন-সংগ্রামে তাকে কেউ দেখেনি। এখন টাকার বিনিময়ে রাজু নেতা বনে গেছেন। আমরা প্রতিবাদে গত রোববার সংবাদ সম্মেলন করেছি।

ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি প্রার্থী জহিরুল ইসলাম বলেন, আমরা কমিটির আহ্বায়ককে মানি না। টাকার লেনদেন করে সে হঠাৎ নেতা বনে গেছেন। প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছি। জেলা নেতাদের কাছেও লিখিত অভিযোগ করেছি।

কেরোয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, ইউনিয়নের শীর্ষ ১৬ নেতা স্বেচ্ছাসেবকদলের কমিটির জন্য সুপারিশ করেছি। কিন্তু রহস্যজনক কারণে যাকে আহ্বায়ক করা হয়েছে, রাজনীতিতে তার ভূমিকা নেই। পদ দিতে টাকার লেনদেন হয়েছে বলে শুনেছি। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের মধ্যে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে রায়পুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক শাহারিয়ার ফয়সাল বলেন, উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহবায়ক জহিরুল ইসলাম নেতা হতে না পেরে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে। টাকার বিনিময়ে কাউকে নেতা বানানো হয়নি। কারণ দর্শানোর নোটিশ পেলে জবাব দেওয়া হবে।

জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের দপ্তর সম্পাদক আরিফ মাহমুদ কাজল বাংলানিউজকে বলেন, বিধিবহির্ভূত ও ত্রুটিপূর্ণ কমিটি দেওয়ার কারণে দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নির্দেশে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের দুই নেতাকে কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছি। আগামী সাত দিনের মধ্যে তাদেরকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০০৩৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ৪, ২০২৩
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।