ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

কারাগারে থেকেও কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন জমা ছাত্রলীগ নেতা মান্নার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২১১ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৩
কারাগারে থেকেও কাউন্সিলর পদে মনোনয়ন জমা ছাত্রলীগ নেতা মান্নার

বরিশাল: আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের পিটিয়ে ও হত্যার হুমকি দিয়ে কারাগারে রয়েছেন সদ্য বিলুপ্ত হওয়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বরিশাল মহানগর কমিটি আহ্বায়ক রইজ আহম্মেদ মান্না। তবে তিনিও বরিশাল সিটি করপোরেশন (বিসিসি) নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হয়েছেন।

মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র ক্রয় ও জমাদানের শেষ দিনে কারাগারে থাকা অবস্থাতেই তার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়।

বিসিসি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রইজ আহম্মেদ মান্না নগরের ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর
প্রার্থী হয়েছেন। ওই ওয়ার্ডে আরও ৭ জন প্রার্থী রয়েছেন।

এদিকে কমিটি বিলুপ্ত হওয়া ও মান্না কারাগারে যাওয়ার পর তার বিরুদ্ধে অনেকে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। তার ভয়ে টটস্থ থাকা নেতাকর্মীরা বলছেন, এই ছাত্রলীগ নেতার ভয়ে মারধরের শিকার হয়েও কেউ যেমন হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেননি, তেমনি আইনের
আশ্রয় নিতেও সাহস পাননি।

মান্নার নিপীড়নের শিকার হয়েছিলেন মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম দেওয়ান। তিনি জানান, মান্নার নেতৃত্বে কয়েকবার তার বাসায় হামলা-ভাঙচুর ও গুলি করা হয়েছে। ফলে ২০১৪ সালের শেষ দিকে বাধ্য হয়েই ঢাকায় পাড়ি জমান।

তবে খোকন সেরনিয়াবাত মনোনয়ন পাওয়ার পর বরিশালে প্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের হয়ে মাঠে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন এই ছাত্র নেতা।

এদিকে ২০২১ সালের আগস্টে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে হামলা, একই বছরের ফেব্রুয়ারিতে বিসিক শিল্প নগরীতে জুতা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ফরচুনে হামলা এবং ওই ঘটনার জেরে কাউনিয়া থানা ঘেরাওয়ের সময়েও ফ্রন্ট লাইনের ছিলেন মান্না। আবার এসব ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় আসামি করা হলেও বীরদর্পে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি।

গত কয়েক বছর ধরে বরিশাল নগরের একক আধিপত্যে থাকা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী হওয়ায় বিবাহিত এবং সন্তান থাকার পরও মান্নাকেই ২০২২ সালের জুলাইয়ে মহানগর ছাত্রলীগের আহ্বায়কের পদ দেওয়া হয়। এ নিয়ে বরিশাল নগরে বিক্ষোভও করে ছাত্রলীগের একটি বড় অংশ। এর আগেই ২০১৮ সাল থেকে নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালেও তার নিয়ন্ত্রণ দেখা যায়। সেখানে
প্রবেশের পরপরই বাস মালিক বনে যান, এরপর নিজেও মোটরসাইকেল রেখে ঘুরে বেড়াতেন প্রাইভেট মাইক্রোতে।

আকস্মিক তার এ পরিবর্তনের ফলে সম্পদের হিসেব খতিয়ে দেখার আহ্বান জানিয়েছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

বাংলাদেশ সময়: ১২১০ ঘণ্টা, মে ১৭, ২০২৩
এমএস/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।