ঢাকা, মঙ্গলবার, ৯ পৌষ ১৪৩১, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

রাজনীতি

সিসিক নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না মেয়র আরিফুল

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২২ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
সিসিক নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না মেয়র আরিফুল আরিফুল হক চৌধুরী । ফাইল ছবি

সিলেট: সিলেট সিটি করপোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ার ঘোষণা দিলেন বর্তমান মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি জানিয়েছেন, সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নেবেন না।

 

শনিবার (২০ মে) বিকেল ৩টায় নগরের রেজিস্ট্রারি মাঠের সমাবেশ থেকে এই ঘোষণা দেন তিনি।  

আরিফুল হক চৌধুরী জানান, বিএনপির গুম-খুন হওয়া নেতাকর্মীদের রক্তের সঙ্গে বেইমানি করে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না।  
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে বিএনপির একজন কর্মী হিসেবে আমি রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। দলের জন্ম থেকে তিলে তিলে সংগঠন গড়ে তুলেছি। সেই সংগঠনের কোনো ক্ষতি হোক, জীবন থাকতে আমি তা চাইতে পারি না।  

তিনি বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি জনগণের অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন করছে। আমি দলের সিদ্ধান্তের সঙ্গে সম্পূর্ণভাবে একমত পোষণ করছি এবং সরকারের পাতানো নির্বাচনে প্রার্থী হবো না। এ জন্য নগরবাসীর কাছে ক্ষমা চাইছি।  

মেয়র আরিফুল বলেন, ইভিএম পদ্ধতি বিশ্বাসযোগ্য নয়। এই পদ্ধতিতে ভোট দেবেন এক জায়গায়, আর পড়বে অন্য জায়গায়। দলের নেতাকর্মী এবং নগরবাসীকে নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানাই।  

মঞ্চে দাঁড়িয়ে আরিফুল হক চৌধুরী অনেকটা খোলামেলা কথা বলেন। তিনি বলেন, গত কয়েকদিন থেকে আমার ওপর যে চাপ যাচ্ছে, তা আমি ছাড়া আর কেউ বলতে পারবে না। এই নগরবাসী আমার আপনজন। তারা আমাকে তিলে তিলে গড়ে তুলেছেন।  তাদের কারণে এই পর্যন্ত আসতে পেরেছি।  

তিনি বলেন, আমার প্রতি আপনাদের আবেগময় ভালোবাসা গত কয়েকদিনে উপলব্ধি করতে পেরেছি। আপনাদের ভালবাসা ও দোয়ার কারণে নানা প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করে আমি দুই মেয়াদে মেয়র হিসেবে আপনাদের খেদমত করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। সুতরাং আপনাদের আমানত নিয়ে আমি আগামী সিটি নির্বাচনে অংশ নেব না, এজন্য ক্ষমা চাচ্ছি।  

ভোট বর্জন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি আপনাদের সন্তান, আমি আপনাদের ভাই। আমি মেয়র না থাকলেও আপনাদের পাশে সবসময় থাকব। আমাকে আপনারা ক্ষমা করুন। এই নগরের সব আন্দোলনে আমি আপনাদের সঙ্গে থাকব।

এর আগে শনিবার দুপুরে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নিজ বাসা নগরের কুমারপাড়া থেকে পায়ে হেঁটে হযরত শাহজালাল (র.) মাজারের উদ্দেশে রওনা দেন। মাজার জিয়ারত শেষে বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের মিছিল নিয়ে নগরের রেজিস্ট্রারি মাঠে প্রবেশ করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৩ ঘণ্টা, মে ২০, ২০২৩
এনইউ/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।