ব্রাহ্মণবাড়িয়া: ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকরাম আহমেদ (৩০) হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ মে) সকাল ১১টায় নিহত ইকরামের বাবা ব্যবসায়ী মাসুদ আহমেদ বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলাটি দায়ের করেন।
মামলায় আসামি করা হয়েছে রায়হানকে (২২)। রায়হান ঢাকার বংশালের সিদ্দিক বাজার এলাকার জিয়াউল করিম জিয়ার ছেলে।
এর আগে, বুধবার সন্ধ্যায় মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে তর্কের ইকরাম আহমেদকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেন রায়হান। শহরের মুন্সেফপাড়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও ছাত্রলীগের ঢাকা উত্তর মহানগরের সাবেক সহ-সভাপতি রেদোয়ান আনসারী রিমোর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে ময়নাতদন্ত শেষে পুলিশ প্রহরায় ইকরামের মরদেহ গ্রহণ করেন স্বজনরা। দুপুরে শহরের টেংকের পাড়স্থ জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী ও মুসল্লিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে গ্রামের বাড়ি জেলার সরাইল উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের তেরাকান্দা গ্রামে তার মরদেহ দাফন করা হয়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সোহরাব আল হোসাইন জানান, এ ঘটনায় ইকরামের বাবা গ্রেপ্তারকৃত রায়হানকে একমাত্র আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। হত্যাকাণ্ডের পর পরই রায়হানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ। থানায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ছুরিকাঘাতে ইকরামকে হত্যা করার কথা স্বীকার করেন তিনি। এ মামলায় রায়হানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ইকরাম আহমেদ শহরের মুন্সেফপাড়ায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য রেদোয়ান আনসারী রিমোর বাসায় যাতায়াত করতেন। সেখানে রিমোর মামাতো ভাই রায়হান থাকতেন। রায়হান ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় রিমোর দোকানে সেলসম্যানের কাজ করেন। তিনি মাদকাসক্ত। রিমোর এক মামার মোটরসাইকেল রায়হান ও ইকরাম মাঝে মধ্যে চালাতেন। বুধবার সন্ধ্যায় ইকরাম সেখানে গেলে মোটরসাইকেলের চাবি নিয়ে রায়হানের সঙ্গে তার ঝগড়া হয়। এরই জেরে রায়হান ছুরিকাঘাত করেন ইকরামকে। এ অবস্থায় ইকরামকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে নিলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫১ ঘণ্টা, মে ২৫, ২০২৩
এসআই