ঢাকা: রাজনীতিবিদ রাশেদ খান মেননের ৮০তম জন্মদিন ছিল গত ১৮ মে। ওইদিন ঘটা করে পালিত হয়নি জন্মজয়ন্তী।
জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা, নৃত্য, সঙ্গীত, গণসঙ্গীত, আবৃত্তি, পালাগান ও নাটকসহ নানা সাংস্কৃতিক আয়োজনে সাজানো ছিল বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ রাশেদ খান মেননের জন্মদিনের আয়োজন।
৮০তে জনতার মেনন উদযাপন জাতীয় কমিটির আয়োজনে রাতে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এই আয়োজন।
জন্মদিন উদযাপনে মিলনায়তনের বাইরের লবির গ্যালারি সাজানো ছিল রাশেদ খান মেননের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন অর্জনের পোস্টার ও তার বিভিন্ন সময়ের প্রতিকৃতি দিয়ে। আলোকিত এই আয়োজনে রাজনীতির পাশাপাশি উঠে এসেছে মেননের শিল্প-সাহিত্য ও সংস্কৃতির নানা অনুরাগের বৃত্তান্ত।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই রাশেদ খান মেননকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান করেন নাট্যজন মামুনুর রশীদ। পোট্রের্ট তুলে দেন ৮০তে জনতার মেনন উদযাপন জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব ও বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির পলিটব্যুরোর সদস্য কমরেড মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।
গণসংগীত পরিবেশন করেন লিপি, নুরিতা, মনিকা, কান্তা, নকশী, সৃষ্টি, তৃপ্তি, টুটুল, সম্পদ, সংগ্রাম, হাফিজ, রানা ও রকি। নৃত্য পরিবেশন করেন সুমাইয়া পারভীন ঝরা। রবীন্দ্রসঙ্গীত পরিবেশন করেন অধ্যাপক সোমা রায়।
অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত হয় রাশেদ খান মেননের জীবন ও কর্ম নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র 'মহাজীবনের এক জীবন'।
সাংস্কৃতিক পর্বের আগে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় বক্তৃতা করেন সংস্কৃতিজন ও রাশেদ খান মেননের সুহৃদ মামুনুর রশীদ, ম হামিদ, নওয়াজীশ আলী খান, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ প্রমুখ।
বক্তারা এসময় বলেন, রাশেদ খান মেনন সারাজীবন গণমানুষের জন্য রাজনীতি করেছেন। রাষ্ট্র থেকে বৈষম্য দূর করে মানুষের সরকার ও জনতার সরকার গঠনে তিনি আজীবন সংগ্রাম করেছেন। সমগ্র রাজনৈতিক জীবনে তার নেতৃত্ব ছিল আপোষহীন।
বাংলাদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, মে ২৭, ২০২৩
এইচএমএস/এসএ