ঢাকা: আওয়ামী লীগ ও বিএনপির ঘোষিত সমাবেশস্থল থেকে নেতা-কর্মীদের সরে যেতে বলেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। তারা বলেছে, অনুমতির আগ পর্যন্ত কোনো দলই সমাবেশস্থলে জড়ো হতে পারবে না।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ডিএমপি সদর দপ্তরে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশন্স) ড. খ. মহিদ উদ্দিন সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান।
সমাবেশস্থল নিয়ে পুলিশ সিদ্ধান্ত না দিলেও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আওয়ামী লীগ মঞ্চ তৈরি শুরু করেছে, নয়াপল্টনে বিএনপির নেতা-কর্মীরাও জড়ো হচ্ছেন, এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘আমরা দুটি দলকেই অনুরোধ করেছি তারা যেন এ কাজটি না করেন, যতক্ষণ পর্যন্ত ডিএমপি থেকে কোনো সিদ্ধান্ত না আসে। বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে দলটির (আওয়ামী লীগ) স্টেজের কাজ স্থগিত করে রেখেছে (পুলিশ)। নয়াপল্টন থেকেও বেশিরভাগ চলে গেছে। ’
নয়াপল্টন এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। সমাবেশের প্রস্তুতির জন্যই কি ক্যামেরাগুলো বসানো হয়েছে? এমন প্রশ্নের জবাবে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সেইফ সিটি ঢাকা চাই। যেখানে প্রতিটি মানুষ নিরাপদে থাকবে। প্রতিদিন বিভিন্ন প্রোগ্রাম হয় সেখানেও সিসি ক্যামেরা থাকে। ডিএমপির দায়িত্বের জায়গা থেকে স্ব-প্রণোদিত হয়ে নিরাপত্তার জন্য ক্যামেরাগুলো লাগানো হয়েছে। ’
বিএনপির সমাবেশ ঘিরে রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে কোনো আশঙ্কা আছে কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আশঙ্কা আমাদের নোটিশ করে আসবে না। যদি কেউ মাস্টারমাইন্ড থেকে থাকে সেটিকে ঘিরেই আমাদের নিরাপত্তা থাকে। সবকিছু সুন্দর করে হয়ে গেলে আমাদের আর প্রয়োজন ছিল না। ’
নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ কেন্দ্র করে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে, আওয়ামী লীগের সমাবেশসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের সমাবেশস্থলে সিসি ক্যামেরা আছে কি না? জানতে চাইলে ড. খ. মহিদ উদ্দিন বলেন, ‘অবশ্যই বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটেও সিসি ক্যামেরা আছে। রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় সিসি ক্যামেরা আছে। আগামীকালের সমাবেশ কেন্দ্র করে সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে, শুধু আজকে নয় এর আগেও লাগানো হয়েছিল। ’
ঢাকার প্রবেশপথে তল্লাশিতে সাধারণ মানুষ হয়রানির শিকার হয়। আগামীকাল এ ধরনের হয়রানির শিকার হতে হবে কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ঢাকা শহরের প্রবেশপথগুলোতে যথেষ্ট চেকপোস্ট রয়েছে। কারণ এই মেগা সিটিতে কোনো দুষ্কৃতকারী ঢুকবে, এটি কাম্য নয়। অপরাধী মানুষকে চেক করতে গিয়ে কখনো কখনো ভালো মানুষকেও চেক করতে হয়। এয়ারপোর্টেও সবাইকে চেকিংয়ের আওতায় আনা হয়। থ্রেট থেকে সেফ থাকার জন্য চেক পয়েন্টে সবাইকে চেক করা হয়। ’
বৃহস্পতিবার অনেকের মোবাইল চেক করা হয়েছে। বিএনপির ফেসবুক পেজে লাইক দেওয়ায় অনেককেই গ্রেপ্তারের অভিযোগ উঠেছে। পুলিশ এ কাজটি করতে পারে কি না? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা বলেন, ‘কেউ যদি অপেশাদার কাজ করে এবং আমাদের কাছে রিপোর্ট আসে ডেফিনেটলি আমরা ব্যবস্থা নেবো। অপেশাদার কাজকে কেউ জায়েজ করে দিতে পারে না। তবে পুলিশের আচরণে সুন্দর ও সৌজন্যবোধ থাকতে হবে। ’
বাংলাদেশ সময়: ২০১১ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৭, ২০২৩
এসজেএ/এইচএ/