ঢাকা: বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারে মেহনতি মানুষের প্রতিনিধি নেই বলে হতাশা প্রকাশ করেছেন জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল।
সংগঠনের সম্পাদক ফয়জুল হাকিম বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারে মেহনতি মানুষের প্রতিনিধি নেই।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) 'স্ফূলিঙ্গ থেকে দাবানল- জুলাই গণঅভ্যুত্থান' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবে তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে জাতীয় মুক্তি কাউন্সিল।
দেশে গণঅভ্যুত্থানের পরে বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি মন্তব্য করে ফয়জুল হাকিম আরও বলেন, গণঅভ্যুত্থানের শক্তির ওপর দাঁড়িয়ে অন্তর্বর্তী বিপ্লবী সরকার গঠিত হয়নি। ফলে শেখ হাসিনা পালিয়ে যেতে পেরেছেন। তাকে পালিয়ে যেতে দেওয়া হয়েছে। ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর গণদুশমন, ফ্যাসিবাদের দোসর, খুনি আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপি অনেকে পালিয়ে গেছেন। কীভাবে তারা পালিয়ে যান, কারা তাদের পালিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন- তাদের কি চিহ্নিত করা হয়েছে?'
সংবিধান সংশোধনের বিষয়ে ফয়জুল হাকিম বলেন, এ জনপদে বহু আন্দোলন হয়েছে। সংবিধান পড়লে মনে হয়, শুধু পাকিস্তান আমলে আন্দোলন হয়েছে। ইতিহাসের পাতা খুলে দেখুন, বিট্রিশ উপনিবেশ শাসনের বিরোধে কত কৃষক বিদ্রোহ হয়েছে, ফকির সন্যাসী বিদ্রোহ হয়েছে, তিতুমীরের বিদ্রোহ হয়েছে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের বিরোদ্ধে যে লড়াই, এই সংবিধান পড়লে তো বুঝা যায় না। আমরা আহ্বান জানাচ্ছি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধানের জন্য। সংবিধান সভার নির্বাচন দিতে হবে। জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে জনগনকে সমান অধিকার দিতে হবে।
আলোচনা সভায় ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত পরিবারের সদস্যরা স্মৃতিচারণ করেন। এ সময় তারা আহতদের চিকিৎসাসহ নিহত ও আহতদের পুর্নবাসনের দাবি জানান।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মিতু সরকারের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বাংলাদেশ লেখক শিবিরের সভাপতি মঈনউদ্দীন আহমেদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২৪
এসসি/জেএইচ