ঢাকা, শনিবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

রেললাইন কেটে মানুষ মারার অপরাজনীতির জবাব দেবে জনগণ: বঙ্গবন্ধু পরিষদ

স্টাফ করেসপনডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩
রেললাইন কেটে মানুষ মারার অপরাজনীতির জবাব দেবে জনগণ: বঙ্গবন্ধু পরিষদ

ঢাকা: মানুষের প্রতি সামান্যতম দরদ থাকলে কেউ রেললাইন কেটে রেখে মানুষ মারতে পারে না। মানুষ কত অমানবিক চক্রান্ত করতে পারে! রাজনীতির নামে অপরাজনীতি করে এবং মৌলবাদী অপশক্তির সঙ্গে হাত মিলিয়ে যারা বাংলাদেশে তালেবানি কায়দায় মৌলবাদী শাসন কায়েম করতে চায়, তাদের আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ভোটের মাধ্যমে জনগণ জোরালো জবাব দেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের নেতারা।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে, জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদ আয়োজিত ‘বাংলাদেশকে জঙ্গী রাষ্ট্রে রূপান্তরের দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র প্রতিহত করুন’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সংগঠনটির নেতারা এসব কথা বলেন।

বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আ ব ম ফারুক।  

আলোচনা সভায় অংশ নেন শহীদ বুদ্ধিজীবীদের সন্তান, প্রখ্যাত মুক্তিযোদ্ধা ও দেশ বরেণ্য বুদ্ধিজীবীরা।

সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাবিরোধী মৌলবাদী অপশক্তির যোগসাজশে পাকিস্তানিরা এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে। আজও সেই মৌলবাদী চক্রের উত্তরাধিকারেরা বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। বিশ্বের কোনো দেশে স্বাধীনতার বিরোধী শক্তি রাজনীতি করার সুযোগ পায় না। আজকে যারা বিএনপি-জামায়াত মৌলবাদী চক্রের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রাজনীতি করার সুযোগ পাচ্ছেন, বঙ্গবন্ধ বেঁচে থাকলে এ সুযোগ কখনোই পেতেন না। কারণ, বঙ্গবন্ধু ধর্মভিত্তিক রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক অপশক্তি রাজনীতি করবে, এটাতো সাংবিধানিকভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।

শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রক্তের ঋণ এ জাতি কখনো শোধ করতে পারবে না উল্লেখ করে বক্তারা আরও বলেন, শহীদদের স্বপ্নকে সবচেয়ে উঁচুতে রেখে আমাদের কাজ করে যেতে হবে। তাদের আদর্শ ও আত্মত্যাগের চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মাঝে সঞ্চারিত করতে হবে।

সভায় শহিদ বুদ্ধিজীবীদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন করে প্রকাশ করা এবং ১৯৭১ সালের পাকিস্তানি হানাদারবাহিনীর বাংলাদেশে সংগঠিত গণহত্যার আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ের দাবি জানিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়।

সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সদ্য সাবেক পদত্যাগী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী, বঙ্গবন্ধু পরিষদের অন্যতম প্রেসিডিয়াম সদস্য, স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, বাংলাদেশের উচ্চতম আদালত আপিল বিভাগের অন্যতম অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষক ও কেন্দ্রীয় বঙ্গবন্ধু পরিষদের নির্বাহী সদস্য অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ও মুক্তিযোদ্ধা গবেষক অধ্যাপক ড. জেবুন্নিসা ও শহিদ সাংবাদিক নিজামুদ্দিন আহমদের সন্তান শাফকাৎ নিজাম বাপ্পি।  

বাংলাদেশ সময়: ১২২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২৩
এইচএমএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।