বরিশাল: নিজে পটুয়াখালী-১ সংসদীয় আসনের প্রার্থী হলেও স্ত্রীর জন্য বরিশালের বাকেরগঞ্জে এসে ভোট চাইলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার। তার স্ত্রী নাসরিন জাহান রতনা বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসনে লাঙল প্রতীকের প্রার্থী।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে বাকেরগঞ্জ পৌর শহরের সাহেবগঞ্জস্থ পল্লীভবন প্রাঙ্গণে দলীয় এক সভায় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান।
বাকেরগঞ্জের উন্নয়নে জাতীয় পার্টি ও মহাজোটের ভূমিকা রয়েছে জানিয়ে রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, রাজনীতিতে অনেক আলোচনা-সমালোচনা থাকবে। বাকেরগঞ্জের যত উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে আমরা করেছি, কে কী করেছেন বলেন? কার কী অবদান আছে বলেন? ভোট এলে অনেকে অনেক কথাই বলেন। কিন্তু আমরা এ মাটি ছাড়ি নাই, আমরা বাকেরগঞ্জের মানুষকে ভুলে যাই নাই। আমরা গুলশান কিংবা বিদেশে বাড়ি করে থাকতে পারতাম। কিন্তু আমার সামনে যারা আছে তারাসহ অনেকেই আছেন যারা আসেননি, তাদের মায়া-ভালোবাসায় কখনও আমরা এই এলাকা ছাড়িনি। সুখে-দুঃখে, ভালোতে মন্দতে আপনাদের সাথে আছি, যতদিন বেঁচে আছি ততদিন আপনাদের নিয়েই থাকব।
তিনি বলেন, নির্বাচন করি তো জয়ের জন্যই। এখানে আওয়ামী লীগের নৌকা ছাড়া আরও একজন প্রার্থী আছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন করছেন। নির্বাচন কমিশন ঘোষণা দিয়েছে, এখানে জোর যার মুল্লুক তার হবে না, নিরপেক্ষ ভোট হবে। নিরপেক্ষ ভোট হলে সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারলে আমাদের বিজয় হবে। আর সেটা হবে সাধারণ মানুষেরও বিজয়। যারা সুবিধাবাদী তারা অনেকেই থাকে না, ভাগ হয়ে গেছে কিন্তু আমরা আপনাদের সাথে আছি, আপনারাও আমাদের সাথে আছেন।
রুহুল আমিন হাওলাদার বলেন, কেউ ভোট নিয়ে যেতে পারবে না, সরকার এখানে নিরপেক্ষ আছে। আমি এখানে আছি, আর পটুয়াখালীতে আমি নির্বাচন করছি, সেখানে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে গেছে, আমাদের পক্ষে জোয়ার এসে গেছে।
লাঙল প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, রতনাকে ভোট দিলে এ অঞ্চলের মানুষের মুখে হাসি ফুটবে, মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য রতনা আমিন কাজ করবে।
সভায় জাতীয় পার্টির প্রেসিডয়াম সদস্য ও লাঙল প্রতীকের প্রার্থী নাসরিন জাহান রতনা বলেন, আমি কাউকে ছেড়ে যাইনি, যাবও না। কাউকে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাকেরগঞ্জের উন্নয়নের জন্য আমাকে যা কিছু দিয়েছেন, সবকিছুই সমানভাবে সবাইকে দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
তিনি বলেন, গত ১৫ বছর আমি আপনাদের কাছ থেকে সরে যাইনি, এমনকি ঢাকায় বসে থাকিনি। ভোটের আর অল্প কয়েকদিন আছে। আপনারা জোর দিয়ে কাজ করেন। আমি কারও মনে যদি কষ্ট দিয়ে থাকি, তাহলে মার্জনা করবেন। আমি আপনাদের সঙ্গে ছিলাম ভবিষ্যতেও থাকব।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০, ২০২৩
এমএস/এমজেএফ