ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

ইউপি চেয়ারম্যানের পায়ে ধরেও মার থেকে রক্ষা পাননি যুবলীগ নেতা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২২
ইউপি চেয়ারম্যানের পায়ে ধরেও মার থেকে রক্ষা পাননি যুবলীগ নেতা চেয়ারম্যান আশরাফুল জামাল রাসেল (কোর্ট পরা) ও ইব্রাহিম খলিল

লক্ষ্মীপুর: লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে যুবলীগ নেতা ইব্রাহিম খলিলকে পিটিয়ে হাসপাতালে পাঠানোর অভিযোগ ওঠেছে চেয়ারম্যান মীর্জা আশরাফুল জামাল রাসেলের বিরুদ্ধে। রাসেল উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান।

তার পায়ে ধরেও মার থেকে রক্ষা পাননি ইব্রাহিম।

বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কমলনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইব্রাহিম বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

ভুক্তভোগী ইব্রাহিম একই ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় চৌরাস্তা বাজারের মুদি ব্যবসায়ী। তিনি ওই এলাকার চৌধুরী মিয়ার ছেলে।

ইব্রাহিম খলিল জানান, বুধবার (১৭ আগস্ট) রাতে তিনি নিজ দোকানে বসে ছিলেন। চেয়ারম্যান রাসেল ৫টি মোটরসাইকেলযোগে লোকজন নিয়ে তার দোকানের সামনে আসেন। এ সময় রাসেল বলে, তোকে (ইব্রাহিম) অনেক দিন ধরে খুঁজছি, কিন্তু পাচ্ছিনা। এখন পেয়েছি। এ বলেই একটি পাইপ দিয়ে তাকে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকেন চেয়ারম্যান রাসেল।  

তার অভিযোগ- লক্ষ্মীপুর-৪ আসনের সাবেক এমপি আবদুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী ও তোরাবগঞ্জের সাবেক চেয়ারম্যান ফয়সল আহমেদ রতনের ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার কারণেই তাকে পেটানো হয়েছে।

ইব্রাহিম বলেন, চেয়ারম্যান রাসেল নিজেই আমাকে এলোপাতাড়ি পিটিয়েছেন। তার পায়ে ধরলেও পেটানো বন্ধ করেনি। পরে আশপাশের লোকজন এলে তাদেরও রাসেল পেটাতে যায়। এ সময় আমি পালিয়ে রক্ষা পায়। বিষয়টি আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) জানিয়েছি।

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মীর্জা আশরাফুল জামাল রাসেল বলেন, মাদকদ্রব্য সেবন ও বিক্রিসহ এলাকায় চুরি বেড়ে গেছে। এটি নিয়ন্ত্রণে রাতে বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শনে বের হই। রাত ১টার পরে ইব্রাহিমের দোকান খোলা ছিল। দোকান খোলার কারণ জানতে চাইলে ইব্রাহিম তর্ক শুরু করে। এতে তাকে একবারই আঘাত করা হয়েছে। তার করা অভিযোগ সত্য নয়।

কমলনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। কেউ এখনও লিখিতভাবে অভিযোগ করেনি।

কমলনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. কামরুজ্জামান বলেন, ঘটনাটি আমাকে জানানো হয়েছে। ভুক্তভোগী অভিযোগ দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ২০৫৯ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০২২
জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।