ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

জনগণ এক যুগ ধরে অধিকারবিহীন: গয়েশ্বর

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫২৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০২২
জনগণ এক যুগ ধরে অধিকারবিহীন: গয়েশ্বর

ঢাকা: সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, দেশের জনগণ ১ যুগ ধরে অধিকারবিহীন। তারা আজ শোষিত।

এই শোষণ কীভাবে হচ্ছে? জনগণের টাকা লুটপাট করে। এই যে ১০ লাখ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে, এসব টাকা জনগণের।

শুক্রবার (১৯ আগস্ট) জাতীয় প্রেসক্লাবের মাওলানা আকরম খাঁ মিলনায়তনে বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরাম আয়োজিত বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংকটে বাংলাদেশ, নিয়ন্ত্রণহীন দ্রব্যমূল্য শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

সরকারের সমালোচনা করে এই বিএনপি নেতা বলেন, গণতন্ত্রের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক নেই। যারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না, আইনের শাসন বিশ্বাস করে না, তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না। সরকার বলছে, আমরা ষড়যন্ত্র করছি। সরকারকে বিদায় দেওয়া ষড়যন্ত্র নয়, এটি দেশের মানুষের নৈতিক দায়িত্ব।

তিনি বলেন, এদেশ কোনো সেমিনারে স্বাধীন হয়নি, আদালতের রায়ে স্বাধীন হয়নি। স্বাধীন হয়েছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে। সুতরাং, রাজনৈতিক যত সিদ্ধান্ত, তা জনগণ নেবে। আদালত নিতে পারে না। মানুষ কখন সংগ্রাম করে শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন করে, যখন তারা বুঝতে পারে, তারা শোষিত হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, বর্তমান অর্থমন্ত্রী আইন করেছেন, বিদেশ থেকে অবৈধ টাকা আনার জন্য। আইন করে কখনো টাকা আনা যায়, এটা আমি শুনিনি। যে দেশের ব্যাংক, সরকার, একমাত্র তারা চাইলে টাকা ফেরত আনা সম্ভব।

গয়েশ্বর রায় বলেন, ধনী হওয়া অপরাধ না। সৎ পথে ধনী হলে সমস্যা নেই। কিন্তু এই টাকা অবৈধ। এই টাকা যদি দেশে বিনিয়োগ বা কর্মসংস্থান হত। আমরা যদি নির্বাচন না করি, এই সরকারকে কে রাখবে? ভারত! মোটেই সম্ভব না। আওয়ামী লীগ যা বলে, তা করে না। শেখ হাসিনা বলেন, তিনি সৎ, নির্লোভ; কিন্তু পরদিনই দেখবেন একটা দুর্ঘটনা ঘটে।

তিনি বলেন, বিনা অপরাধে আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে জেল দেওয়া হয়েছে। আর কী করার বাকি আছে। তাহলে, আমাদের কী গা বাঁচিয়ে কথা বললে চলবে? সুতরাং ভাগ্য যেহেতু আমাদের সবার সমান, তাই ভাগ্য পরিবর্তনেও সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. আহম্মেদ আজম খান বলেন, এবার শেষ রক্ষা হবে না, এটা সরকার বুঝে ফেলেছে। তাই তারা আবোল-তাবোল বলতেছে। ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি পালাবার অলিগলিও খুঁজে পাবে না। আমরা অলিগলিতে দৌঁড়াবার দল নয়, আমরা রাজপথের দল। রাজপথেই থাকব।

তিনি বলেন, আমাদের এক আহাম্মক পররাষ্ট্রমন্ত্রী আছেন। যিনি বলেছেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের স্বামী-স্ত্রী সম্পর্ক। বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বললেন, ভারত সরকারকে বলেছি আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় রাখতে হবে। অর্থাৎ, মানুষের ওপর তাদের আস্থা নেই। দু'দিন আগে এই আহাম্মক পররাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, আমরা বেহেশতে আছি। তিনি একদম ঠিক বলেছেন। তারা বেহেশতেই আছেন। কষ্টে আছে সাধারণ মানুষ।

বিএনপির এই নেতা বলেন, আপনি বাসে ওঠেন, ট্রেনে ওঠেন, রিকশাওয়ালাকে জিজ্ঞেস করেন, কেউ আওয়ামী লীগকে চায় না। দু'দিন আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান মিশেল ব্যাচলেত বাংলাদেশে এসেছিলেন। আওয়ামী লীগ তাকে জানিয়েছে বাংলাদেশে কোনো মানবাধিকার লংঘন হয়নি। কিন্তু, বাংলাদেশের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা সংস্থাগুলো সব জানিয়েছে।

বাংলাদেশ ইয়ুথ ফোরামের সভাপতি মুহাম্মাদ সাইদুর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলাম।

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৭ ঘণ্টা, ১৯ আগস্ট, ২০২২
এমকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।