ঢাকা, শনিবার, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

রাজনীতি

বিএনপির অনেক নেতাই আ.লীগে যোগ দিতে আসে: কাদের

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯২৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২২
বিএনপির অনেক নেতাই আ.লীগে যোগ দিতে আসে: কাদের বক্তব্য রাখছেন ওবায়দুল কাদের। ছবি: শাকিল আহমেদ

ঢাকা: বিএনপির কেন্দ্রীয়, জেলা পর্যায়ের অনেক নেতাই আওয়ামী লীগে যোগ দিতে আসে বলে জানিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।  

আওয়ামী লীগের দরজা খুলে দিলে দেখা যাবে যোগদানের লাইন কত বড় বলেও তিনি জানান।

শনিবার (২০ আগস্ট) বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদরে এ কথা বলেন।  

বিএমএ মিলনায়তনে সংগঠনটির সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বিএনপির নেতাদের উদ্দেশ্যে কাদের বলেন, নির্বাচন আসুক তখন আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা প্রমাণ পাবেন। তখন প্রমাণ হবে শেখ হাসিনার জনপ্রিয়তা কত উঁচুতে। আমাদের প্রমাণ করতে হবে না, তখন টের পাবেন। আপনাদের দলের নেতৃত্বের প্রতি নেতাকর্মীদেরই আস্থা নেই। আপনাদের দলের অনেকেই তো আমাদের কাছে আসে। বিএনপির কেন্দ্রীয়, জেলা পর্যায়ের অনেক নেতাই আওয়ামী লীগে যোগ দিতে চায়। আওয়ামী লীগের দরজাটা খুলে দিলে দেখা যাবে যোগদানের লাইন কত বড়।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, আমাদের বিদেশে বন্ধু আছে, আমাদের প্রভু নেই। প্রভু আছে আপনাদের (বিএনপি), আমরা বন্ধুত্ব করি। আমি কারো দয়ায় তো ক্ষমতায় আসিনি, আমাকে দেশের জনগণ সমর্থন করেছে, আল্লাহ পাক দয়া করেছে তাই ক্ষমতায় আছি। বিএনপি নেতারা আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু তাদের ডাকে মানুষ সাড়া দেয় না।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ১৯৭৩ সালে চিলি প্রেসিডেন্ট আয়েন্দে হত্যার পর বঙ্গবন্ধু কিছুটা বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন। তিনি অনেকের কাছে উচ্চারণ করেছিলেন একটি বুলেট আমাকে পিছু তাড়া করছে। কিন্তু তাঁর আত্মবিশ্বাস ছিল অনেক উঁচু। তিনি অনেকের কাছে প্রকাশ করেছিলেন এরা আমার সন্তান, এরা আমাকে মারবে না। এই হত্যাকাণ্ডের পর মঞ্চের খুনিদের আমরা চিনলাম। কিন্তু যারা পেছনে থেকে সাহস দিয়েছিল, কুশীলব ছিল তাদের ব্যাপারে জানা যায় না। সেদিন অনেকের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু টেলিফোনে কথা বলেছিলেন, কিন্তু তার প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা কর্নেল জামিল ছাড়া কেউ এগিয়ে আসেননি। এত বিশ্বস্ত বন্ধু,  দলে এত নেতাকর্মী। সেদিন দলের কাউকে দেখা পাওয়া গেল না। সারা দিন ও রাত তার পরদিন দুপুর পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু মরদেহ পড়ে থাকলো। এই ব্যর্থতার দায় আমরা কোন দিন এড়াতে পাবো না। এত বিশস্ত সহকর্মী, কোথায় গেল তারা। বিশ্বাসঘাতকতার নিকৃষ্ট নজির এখানে আছে।

কাদরে বলেন, ইতিহাসের পরিণতি করুণ। জিয়াউর রহমানেরও অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছিল। যে বুলেট শেখ হাসিনা, শেখ রেহানাকে এতিম করেছে সেই বুলেটই খালেদা জিয়াকেও বিধবা করেছে। মোশতাক তিন মাসও ক্ষমতায় থাকতে পরেনি। জিয়াউর রহমানের ভূমিকা কী ছিল। তিনি যদি পেছন থেকে সাহস না দিতেন খুনিরা এত বড় দুঃসাহস পেত না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তিনি সেনা প্রধান হলেন।  এরপর নিজেই নিজেকে প্রেসিডেন্ট করলেন। বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পুরস্কৃত করলেন, বিদেশে বাংলাদেশের দূতাবাসে চাকরি দিলেন।

এ আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাবেক উপাচার্য ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া, ডা. কামরুল হাসান খান, আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, বিএমএর মহাসচিব ডা. শফিকুর রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. শরফুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, আগস্ট ২০,২০২২
এসকে/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।