ঢাকা: ২০২১ সালে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল এবং বিরোধী পক্ষের সঙ্গে সংঘাতে দেশে ১৫৭ জন নিহত এবং প্রায় ১১ হাজার মানুষ আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে আইন ও সালিশ কেন্দ্র (আসক)।
শুক্রবার (৩১ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি ২০২১: আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পর্যালোচনা’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানানো হয়।
আইন ও সালিশ কেন্দ্রের প্রতিবেদনে বলা হয়, '২০২১ সালে স্থানীয় পরিষদ নির্বাচন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন ইস্যুতে রাজনৈতিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। এ সব ঘটনায় দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটে এবং জনগণের মধ্যে নানা শঙ্কা ও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। '
আসক তথ্য সংরক্ষণ ইউনিটের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ বছর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ, ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে বিরোধীদল এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দলসহ মোট প্রায় ৯৩২টি রাজনৈতিক সংঘাতের ঘটনা ঘটে। এসব রাজনৈতিক সংঘাতে ১৫৭ জন নিহত এবং প্রায় ১০ হাজার ৮৩৩ জন আহত হন।
২০২১ সালে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রায় ৬৭২টি সহিংসতার ঘটনায় ১১৩ জন নিহত এবং আহত হন প্রায় ৭২০১ জন। এছাড়াও পৌর এবং সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনকে ঘিরে ৮৩টি ঘটনায় ১৩ জন নিহত এবং প্রায় ৭৮৮ জন আহত হয়েছেন। অন্যদিকে ২০২১ সালে ১৪৪ ধারা জারির ঘটনা ঘটেছে কমপক্ষে ২০ বার।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, 'স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশে আগমনকে কেন্দ্র করে হেফাজতে ইসলামের ডাকা বিক্ষোভ ও হরতাল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে গত ২৬ মার্চ থেকে ২৮ মার্চ পর্যন্ত রাজধানী ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের কয়েকটি স্থানে ব্যাপক সহিংসতা ও সংঘর্ষের ঘটনায় কমপক্ষে ১৪ জন নিহত এবং শতাধিক ব্যক্তির আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। '
সংবাদ সম্মেলনে ২০২১ সালে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে মূল প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন আসকের জ্যেষ্ঠ সমন্বয়কারী আবু আহমেদ ফয়জুল কবির ও সহকারী সমন্বয়কারী অনির্বাণ সাহা।
সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন আসক নির্বাহী কমিটির মহাসচিব মো. নূর খান। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন আসকের নির্বাহী পরিচালক গোলাম মনোয়ার কামাল ও পরিচালক নীনা গোস্বামী।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০২১
এমইউএম/এনএইচআর