ঢাকা, শনিবার, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

একাত্তর

১৩ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় নীলফামারী

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪
১৩ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় নীলফামারী

নীলফামারী : আজ ১৩ ডিসেম্বর নীলফামারী হানাদারমুক্ত দিবস।

১৯৭১ সালের এ দিনে ৬ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা পাক হানাদার বাহিনীর কবল থেকে নীলফামারীকে মুক্ত করেন।

উত্তোলন করেন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।

১৯৭১ সালের এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্ট থেকে পাক হানাদারেরা নীলফামারী দখল করে নিয়েছিল। অল্প দিনের মধ্যেই শুরু হয় বিভিন্ন স্থানে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ। চারদিক থেকে আক্রমণে দিশেহারা হয়ে পড়ে পাক বাহিনী।

মুক্তিযোদ্ধারা চারিদিক দিয়ে আক্রমণ শুরু করে ৬ ডিসেম্বর ডোমার ও ৮ ডিসেম্বর জলঢাকা ও কিশোরগঞ্জ উপজেলা থেকে পাক সেনাদের হটিয়ে হানাদার মুক্ত করেন।
 
নীলফামারী জেলা শহরকে মুক্ত করতে চারদিক দিয়ে আক্রমণ শুরু হয়। ১২ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিযোদ্ধারা নীলফামারী শহরের দিকে অগ্রসর হতে থাকলে পাক সেনারা পিছু হটে সৈয়দপুর ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে আশ্রয় নেয়।

১৩ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিযোদ্ধারা শহরে প্রবেশ করতে থাকেন এবং নীলফামারী শহর সম্পূর্ণ হানাদারমুক্ত হয়। শান্তিকামী মানুষ রস্তায় নেমে আসেন এবং চৌরঙ্গী মোড়ে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।

টানা নয় মাসের যুদ্ধে ক্যাপ্টেন বাশার, আলী হোসেন, আহমেদুল হক প্রধান, আনজারুল হক ধীরাজ, জাহেরুল ইসলাম, মোজাম্মেল হক, মিজানুর রহমান, মির্জা হাবিবুর রহমান বেগসহ ১৭ জন বীর যোদ্ধা শহীদ হন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৩, ২০২৪
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।