ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

একাত্তর

মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা স্মরণে ময়মনসিংহে ধ্রুপদী ভাস্কর্য

এম. আব্দুল্লাহ আল মামুন খান, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩৩৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০১৬
মুক্তিযুদ্ধের গৌরবগাথা স্মরণে ময়মনসিংহে ধ্রুপদী ভাস্কর্য ছবি-অনিক খান/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মুক্তিযুদ্ধে ময়মনসিংহের গৌরবগাথাকে স্মরণীয় করে রাখতে ইতিহাস-ঐতিহ্যের মিশেলে পরিকল্পিতভাবে সাজানো হচ্ছে ময়মনসিংহ নগরীকে।

ময়মনসিংহ: মুক্তিযুদ্ধে ময়মনসিংহের গৌরবগাথাকে স্মরণীয় করে রাখতে ইতিহাস-ঐতিহ্যের মিশেলে পরিকল্পিতভাবে সাজানো হচ্ছে ময়মনসিংহ নগরীকে।

নগরীর টাউন হল মোড়ের নাম দেওয়া হয়েছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের অবিসংবাদিত নেতা ও বঙ্গবন্ধুর আমৃত্যু ঘনিষ্ঠ সহচর শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্কয়ার।

সেখানে নির্মিত হয়েছে স্বাধীন বাংলার এ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতির ম্যুরাল।

টাউন হলের ভেতরেই নির্মাণ করা হয়েছে প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা ভাষা সৈনিক শামসুল হক মঞ্চ।

৫২’র ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলেন ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও পাঁচবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য এম. শামসুল হক। ২১ ফেব্রুয়ারি শহরের স্টেশন রোড থেকে বের হওয়া মিছিল থেকে তিনি গ্রেফতার হন। কারাবরণ করেন ছয় মাস।

প্রতি বছর মুক্তমঞ্চের অনুষ্ঠানস্থল নগরীর ছোট বাজার সড়কের নামকরণ করা হয়েছে শহীদ স্মরণি।

এছাড়া মুক্তিযোদ্ধা-জনতার প্রথম বিজয় পথর‌্যালির মোড়ের নামকরণ করা হয়েছে বিজয় ৭১ মোড়। নগরীর প্রথম শহীদ মিনারের স্থানটিতে নির্মিত হয়েছে ভাস্কর্য ‘স্মৃতি অম্লান। ’

মূলত এসব কর্মযজ্ঞের মধ্য দিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বগাথাকেই সম্মান জানানো হয়েছে বলে মনে করেন স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধারা।

১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর হানাদারমুক্ত ময়মনসিংহের মুক্ত আকাশে ওড়ে প্রথম বিজয় নিশান। ওইদিন সকালে যে স্থান দিয়ে মুক্তিযোদ্ধারা ময়মনসিংহ শহরে প্রবেশ করেছিলেন, সেই মোড়টিকে স্মরণীয় করে রাখতে তৈরি করা হয়েছে ভাস্কর্য।

ইতিহাস-ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে এ মোড়টিকে নতুন করে সাজানো হয়েছে। এখানে স্থাপন করা হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠদের ম্যুরাল।

ময়মনসিংহ পৌরসভার সৌন্দর্যায়ন উদ্যোগের আওতায় শহরজুড়ে হয়েছে পরিকল্পিত উন্নয়ন। পৌরসভা মোড়ে স্থাপিত নগরীর প্রথম শহীদ মিনারকে নান্দনিক রূপে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

নির্মাণ করা হয়েছে প্রথম শহীদ মিনার স্মারক ভাস্কর্য। রাতের আলোতে এ স্থানটি হয়ে ওঠে আলোকিত ও অনিন্দ্য সুন্দর।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে পরিকল্পিতভাবেই এসব কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান ময়মনসিংহ পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. ইকরামুল হক টিটু।

তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধে ময়মনসিংহের গৌরবগাথা স্মরণীয় করে রাখার পাশাপাশি শহরকে আধুনিকায়ন করাই আমাদের মূল লক্ষ্য। ময়মনসিংহের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস স্মরণে এসব স্মারক স্থাপনা এক অনন্য মাইলফলক হয়ে থাকবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১১, ২০১৬

এমএএএম/এসএনএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।