ঢাকা, সোমবার, ২৯ পৌষ ১৪৩১, ১৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ রজব ১৪৪৬

বসুন্ধরা শুভসংঘ

আক্কেলপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের ঘুড়ি উৎসব

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৫
আক্কেলপুরে বসুন্ধরা শুভসংঘের ঘুড়ি উৎসব

আবহমান গ্রাম-বাংলা থেকে হারাতে বসেছে সেই চিরচেনা ঘুড়ি উৎসব। সেই হারানো উৎসব ফেরাতে প্রথমবারের মতো জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলায় ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

রবিবার (১২ জানুয়ারী) সকালে আক্কেলপুর পৌর এলাকার রাজকান্দা লিঙ্ক রোডে এ আয়োজন করেন বসুন্ধরা শুভসংঘ আক্কেলপুর শাখার বন্ধুরা। উৎসবটি উদ্বোধন করেন বসুন্ধরা শুভসংঘ জয়পুরহাট জেলার আক্কেলপুর শাখার উপদেষ্টা এম রাসেল আহমেদ।

দেখা যায়, আক্কেলপুর রোয়াইড়-রাজকান্দা লিঙ্ক রোডের দিগন্ত জোড়া সরিষা ক্ষেতের হলুদ মাঠে সকাল থেকে এক ঝাঁক শিশু-কিশোর ঘুড়ি ওড়াতে ব্যস্ত। আবহমান গ্রাম-বাংলা থেকে হারাতে বসেছে সেই চিরচেনা ঘুড়ি উড়ানো নিয়ে শিশুরা আগের মতো আর ব্যস্ত থাকতে দেখা যায় না। চোখে পড়ে না তাদের দুরন্তপনার। প্রযুক্তির উৎকর্ষে শিশুরা ধীরে ধীরে ডিজিটাল গেম আর স্মার্ট ফোনে আসক্ত হয়ে পড়েছে।

এতে তাদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ আসক্তি থেকে তাদের বিরত রাখতে শুভসংঘের এ ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন।

এ সময় আক্কেলপুর শাখার উপদেষ্টা এম রাসেল আহমেদ বলেন, ঘুড়ি কত ছেলে-মেয়েদের জীবনের সুন্দর স্মৃতির রচনা করেছে। কত আনন্দের জন্ম দিয়েছে।

কত অভিজ্ঞতার ঝুলি ভারি করেছে। দেশে নবাবী আমলে ঘুড়ি ওড়ানোর প্রচলন ছিল। আমরা ছোটবেলায় অনেক ঘুড়ি উড়াতাম।

ঘুড়ি উৎসব দেখতে আসা স্থানীয় বাসিন্দা মশিউর রহমান মিশু বলেন, শিশুদের ঘুড়ি ওড়ানো দেখে ছোটবেলায় ফিরে গেছি। তারা অনেক আনন্দ-উচ্ছ্বাস নিয়ে ঘুড়ি ওড়াচ্ছে। ওদের বিকাশে এমন উৎসব খুবই প্রয়োজন। ঘুড়ি উৎসব দেখে খুব ভালো লেগেছে।

শুভসংঘের আক্কেলপুর শাখার সভাপতি মওদুদ আহম্মেদ বলেন, এখনকার শিশুরা ডিজিটাল প্রযুক্তিতে আসক্ত। তারা গ্রামীণ সংস্কৃতির সঙ্গে তেমন পরিচিত নয়। এতে তাদের মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ আসক্তি থেকে ফেরাতেই আমাদের এ আয়োজন। নিয়মিত এ ধরনের আয়োজন করা হবে।

শুভ সংঘের ঘুড়ি উৎসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন শুভসংঘ সাধারণ সম্পাদক শাদমান হাফিজ শুভ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান, অর্থ সম্পাদক শাহরিয়া সিয়াম, দপ্তরসম্পাদক সকেল হোসেন, তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক জুনায়েদ আল জুবেরী সাবাব, মামিনুর রহমান সজল, আজমির আহম্মেদ ও খায়রুন নেছা প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১২, ২০২৪
নিউজ ডেস্ক

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।