ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

খেলা

বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ থেকে শ্রীলঙ্কার বিদায়

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৩, ২০১৬
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ থেকে শ্রীলঙ্কার বিদায় ছবি : শোয়েব মিথুন / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম থেকে: বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১-০ গোলে হারিয়ে টুর্নামেন্টের প্রথম জয় তুলে নিল হিমালয় কণ্যা নেপাল। আর টানা দুই ম্যাচ হেরে গ্রুপ পর্ব থেকেই নিজেদের বিদায় ঘণ্টা বাজালো শ্রীলঙ্কা।

কেননা প্রথম ম্যাচে লঙ্কানরা ৪-২ গোলে হেরেছিল বাংলাদশের কাছে।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে গ্রুপ পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শুরু থেকেই আক্রমনাত্মক খেলতে থাকে নেপাল। দলটির আক্রমন ভাগের ধার এতটাই প্রবল ছিল যে, ৪ মিনিটেই রবিনের কাট ব্যাক থেকে বিমল ঘাটতি মাগার লঙ্কান জালে বল জড়ালে ১-০ তে এগিয়ে যায় হিমালয়ের দেশ। এরপর ১৭ মিনিটে মাঠের ডান দিক দিয়ে আবার শ্রীলঙ্কার সীমানায় আক্রমণ চালায় নেপাল কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা লঙ্কান রক্ষন দূর্গে বাধ পড়ে।

নেপালের এমন মুহুর্মুহু আক্রমনের জবাবে সমতায় ফিরতে শ্রীলঙ্কাও বেশে কয়েকটি আক্রমন রচনা করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত তাদর কোন আক্রমণ সফলতার মুখ না দেখায় পিছিয়ে থেকেই প্রথমার্ধের বিরতিতে যায় দলটি।

প্রথমার্ধে পিছিয়ে থাকা শ্রীলঙ্কা খেলায় ফিরতে দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার আরও বাড়ায়। তবে তাতে খুব বেশি লাভ হয়নি। কেননা শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলা নেপাল দ্বিতীয়ার্ধেও তাদের সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখে। মাঝমাঠ, রক্ষণ ভাগ ও আক্রমণ ভাগ প্রতিটি বিভাগেই সেই দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ধরে রেখে বারবারই নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে। তাই তাদের দুর্দান্ত সেই রক্ষণ দুর্গে একবারের জন্য ও গোছালো কোন আক্রমণ করতে পারনি শ্রীলঙ্কা। আর নেপাল রক্ষনের তীব্রতার ধারাবাহিকতায় ৫৮ মিনিটে লঙ্কান গোলবারের একেবারে সামনে থেকে শট নিয়েছিলেন মাধুসান ডি সিলভা। কিন্তু বিধি বাম, বলটি চলে যায় ক্রস বারের উপর দিয়ে।

এর পরের গল্পটি শুধুই দু’দলের মাঝ মাঠের লড়াইয়ের। দু’দলেরই আক্রমণ ভাগ যেন গোছালো একটি আক্রমণ  রচনা করতে চেয়েও পারছিলোনা। এতে করে আখেরে অবশ্য লাভবান হয়েছে নেপাল। প্রথমার্ধেই এগিয় থাকায় খেলার শেষ পর্যন্ত এই ধারাবিহকতা ধরে রেখে খেলা শেষে কাঙ্খিত জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে অলরেডরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৫ ঘণ্টা, ১৩ জানুয়ারি, ২০১৬
এইচএল/এমএমএস   

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।