ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

খেলা

সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখলো বাহরাইন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৪, ২০১৬
সেমির আশা বাঁচিয়ে রাখলো বাহরাইন

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম থেকে: বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে গ্রুপপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে কম্বোডিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালের দৌঁড়ে টিকে থাকলো বাহরাইন। আর বাহরাইনের কাছে হেরে টানা দুই ম্যাচ পরাজয়ে সেমিফাইনালের দৌঁড় থেকে ছিটকে গেল কম্বোডিয়া।



প্রথমটিতে বাংলাদেশ অলিম্পিক দলের সঙ্গে ড্র আর এই ম্যাচে জয়ের সুবাদে বাহরাইনের পয়েন্ট ৪। আর টানা দুই ম্যাচ হেরে কম্বোডিয়ার পয়েন্ট শূন্য।

বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে, গ্রুপপর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে খেলতে নেমে প্রথমার্ধের শুরু থেকেই বেশ আক্রমনাত্মক মনে হয় কম্বোডিয়াকে। প্রথম ম্যাচে মালদ্বীপের কাছে হেরে বসা দলটি এই ম্যাচে জয় নিয়ে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে চেয়েছিল। এমন মনোভাব নিয়ে প্রথমার্ধের ৩ মিনিটেই বাহরাইন সীমানায় অল-অ্যাটাক আক্রমণে গিয়ে দলটির রক্ষণদূর্গ ভাঙতে চাইলেও শেষ পর্যন্ত গোলরক্ষকের দক্ষতায় বেঁচে যায় বাহরাইন।

খেলার শুরুতেই নিজেদের সীমানায় প্রতিপক্ষের আক্রমণ দেখে বসে ছিলোনা বাহরাইনও। এমন ক্ষুদ্ধ মনোভাব নিয়ে দশম মিনিটে কম্বোডিয়ার সীমানায় সুনিপুন এক আক্রমণ করে গোলের দারুণ এক সুযোগ আনে বাহরাইন। কিন্তু কম্বোডিয়ার রক্ষণদূর্গে তাদের সেই আক্রমণ প্রতিহত হয়। অবশ্য প্রথমবারের মতো বাহরাইন ব্যর্থ হলেও সফল হয়েছে তার পরের আক্রমণেই। ১২ মিনিটের মাথায় গোলবারের বাঁ প্রান্তের কর্ণার থেকে জেসমিন আলশেইখ এর নেয়া শটটি অধিনায়ক আব্দুল আজিজ শেখ’র মাথার জোড়ালো হেডে ১-০ তে এগিয়ে যায় বাহরাইন।

পিছিয়ে পড়ে প্রথমার্ধেই খেলায় ফিরতে বেশ কয়েকটি আক্রমণ চালিয়েছে কম্বোডিয়া। কিন্তু দলে ভাল ফিনিশারের অভাবে ব্যর্থ হওয়ায় বাহরাইনের চেয়ে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যেতে হয় তাদের।

তুলনামূলক ভাল খেলেও প্রথমার্ধে পিছিয়ে থাকা কম্বোডিয়া দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার আরও বাড়ালে এলোমেলো হয়ে পড়ে বাহরাইন রক্ষণভাগ। ৫৮ মিনিটে উইঙ্গার ভেনদিত সন বাহরাইন সীমানায় দুদার্ন্ত পারফর্ম দেখান। কিন্তু, গোলরক্ষক মাহবুব আলদোসেরি তার সেই শটটি প্রতিহত করে দলকে নিশ্চিত গোলের হাত থেকে রক্ষা করেন।

প্রথমার্ধে এগিয়ে থাকা বাহরাইন দ্বিতীয়ার্ধে নিজেদের খেলার কৌশল পরিবর্তন করে। আক্রমনাত্মক না খেলে খেলতে থাকে রক্ষণাত্মক। ফলে খেলার শেষ পর্যন্ত কম্বোডিয়ার চেয়ে এগিয়ে থেকে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়ে তারা।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, ১৪ জানুয়ারি ২০১৬
এইচএল/এমআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।