ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

খেলা

গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৫, ২০১৬
গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ ছবি :কাশেম হারুন/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের চলতি আসরে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে মাঠে নামার আগেই সুসংবাদ পায় বাংলাদেশ জাতীয় দল। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২-১ গোলে হেরে আসর থেকে বিদায় নেয় মালয়েশিয়া।

নিজেদের ম্যাচে নেপালের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করায় গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই সেমিফাইনালে উঠল বাংলাদেশ।

আগেই লঙ্কানরা বিদায় নেওয়ায় সেমির টিকিট নিশ্চিত হয় বাংলাদেশ ও নেপালের। ফলে, গ্রুপ ‘এ’র চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্যে নেপালের বিপক্ষে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় মাঠে নামে মারুফুল হকের বাংলাদেশ।

শুরু থেকেই দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ম্যাচ খেলতে থাকে স্বাগতিক বাংলাদেশ আর সফরকারী নেপাল। তবে, প্রথমার্ধ শেষে কোনো দলই গোল আদায় করে নিতে না পারায় গোলশূন্য অবস্থায় বিরতিতে যায় দুই দল। বিরতির পরেও কোনো গোল হয়নি।

বিরতির পর শুরুতেই জোরালো আক্রমণ করে লাল সবুজের জার্সিধারীরা। ম্যাচের ৪৯তম মিনিটের মাথায় হেমন্ত ভিনসেন্টের একটি শট প্রতিহত করে নেপালের গোলরক্ষক। নেপালের গোলরক্ষককে খুব একটা বেগ পেতে হয়নি হেমন্তর নেওয়া দুর্বল শটটি রুখে দিতে।

ম্যাচের ৫৬ মিনিটে নেপালের গোলবারের বাঁ-প্রান্ত দিয়ে বল নিয়ে প্রবেশ করেন হেমন্ত। দারুণ এক পাস বাড়ান শাখাওয়াত হোসেন রনির উদ্দেশ্যে। প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে বল নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি রনি। নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট হয় বাংলাদেশের।

ম্যাচের ৬১ মিনিটে কাউন্টার অ্যাটাক থেকে গোলের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলে নেপাল। বাংলাদেশের সীমানায় প্রবেশ করে নেওয়া অঞ্জনের জোরালো শটটি গোলবারের অল্প বাইরে দিয়ে চলে গেলে এ যাত্রায় বেঁচে যায় স্বাগতিকরা। মাঝমাঠে দারুণভাবে নিজেদের মাঝে বল আদান-প্রদান করে খেলতে থাকে নেপাল। ৬৫ মিনিটে বিরাজের জোরালো শট ঝাঁপিয়ে পড়ে নিজের নিয়ন্ত্রণে নেন বাংলাদেশের গোলরক্ষক।

৬৯ মিনিটের মাথায় নেপালের এক ফুটবলারকে মারাত্মক ট্যাকল করলে হলুদ কার্ড দেখেন মোনায়েম রাজু। ৭০ মিনিটে নাবিব জীবনের বদলি হিসেবে বাংলাদেশ কোচ মারুফুল হক মাঠে নামান সোহেল রানাকে।

বদলি হিসেবে নেমেই বাংলাদেশকে গোলের দেখা পাইয়ে দিতে চেষ্টা করেছিলেন সোহেল রানা। নেপালের গোলবারের ডান দিক থেকে কোনাকুনি শট নেন তিনি। তবে, ৭৪ মিনিটে তার নেওয়া শটটি গোলবারের বাইরে দিয়ে বেরিয়ে যায়। একটি বিতর্কিত ফাউলের সিদ্ধান্তে ৭৫ মিনিটে দুই দলের ফুটবলারদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

ম্যাচের ৮৩ মিনিটে দারুণ একটি দলগত পারফর্ম করে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডারের কাছ থেকে বল কেড়ে নেন দলপতি মামুনুল ইসলাম। সেখান থেকে তিনি বল বাড়ান মোনায়েম রাজুকে। রাজু থেকে বল পান শাখাওয়াত রনি। আর পুরো ম্যাচে দারুণ খেলা রনি নেপালের জাল লক্ষ্য করে শট নেন। প্রতিপক্ষের গোলরক্ষক লাফিয়ে উঠলেও বলের নাগালে যেতে পারেননি। অতিথিদের ভাগ্য ভালো যে রনির শটটি গোলপোস্টের অল্প উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়।

একই মিনিটে হেমন্ত ভিনসেন্টকে তুলে নিয়ে মারুফুল হক মাঠে নামান জুয়েল রানাকে।

৮৭ মিনিটে লম্বা থ্রো থেকে বল পান জামাল ভূঁইয়া। নেপালের ডি-বক্সে বল পেয়েই তিনি জোরালো শট নেন। তার শটটি নেপালের গোলরক্ষক প্রথম অবস্থায় নিয়ন্ত্রণে নিতে না পারলেও পরের চেষ্টায় নিজের দখলে নিয়ে নেন।

ম্যাচের বাকি সময়েও কোনো গোল হয়নি। ফলে, সমতা নিয়ে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে দুই দল। আর ড্র হওয়ায় গোল ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় বাংলাদেশ গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই পরের রাউন্ডে উঠল।

বাংলাদেশ সময়: ২০২৪ ঘণ্টা, ১৫ জানুয়ারি ২০১৬
এমআর

** সেমিতে বাংলাদেশ, প্রথমার্ধ গোলশূন্য

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।