ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

খেলা

টেনিসে ফিক্সিংকাণ্ড

এখনই সময় ফিক্সারদের নাম প্রকাশের: ফেদেরার

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৯, ২০১৬
এখনই সময় ফিক্সারদের নাম প্রকাশের: ফেদেরার ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: বছরের প্রথম গ্র্যান্ডস্ল্যাম অস্ট্রেলিয়ান ওপেন শুরুর আগ মুহূর্তে বিশ্ব টেনিস তারকাদের বিরুদ্ধে ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ উঠেছে। শুধু ম্যাচ পাতানোর অভিযোগ নয়, যথেষ্ট প্রমাণাদির নথিপত্রও রয়েছে-এমন দাবি বিবিসি ও ক্রীড়া সংবাদমাধ্যম বাজফিডের।



আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম থেকে জানা যায়, ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ওই তদন্ত শুরু করেছিল পুরুষদের খেলার পরিচালনা বোর্ড অ্যাসোসিয়েশন অব টেনিস প্রফেশনাল (এটিপি)। তবে যে ১৬ জন টেনিস তারকাকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের দায়ে সন্দেহ করা হচ্ছে, তাদের নাম প্রকাশ করা হয়নি। গত এক দশকে যারা র্যাংকিংয়ের শীর্ষ ৫০ জনের মধ্যে ছিলেন।

এমন বাজে অভিযোগের ভিত্তিতে মোটেই সন্তুষ্ট নন বিশ্ব টেনিসের তারকা রজার ফেদেরার। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ডে জয় পাওয়ার পর তিনি জানান, আমি খুবই খুশি হবো যদি তারা নামগুলো প্রকাশ করেন। এরপরই বিতর্ক নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হতে পারে। কারা জড়িত এই ন্যাক্কারজনক কাণ্ডে? স্টাফ নাকি খেলোয়াড়? তারা কি আগেও এমনটি করেছেন? জড়িতরা ডাবলস্ল্যাম জয়ী নাকি তারা সিঙ্গেল স্ল্যাম জয়ী খেলোয়াড়? কোন গ্রান্ডস্ল্যামে তারা এমনটি করেছেন? সব কিছুর পরিস্কার তালিকা দেখতে চাই।

ফেদেরার ম্যাচ ফিক্সিংয়ের ঘটনা প্রসঙ্গে আরও যোগ করে বলেন, এটা অতি গুরুতর একটি ব্যাপার। খেলাধুলার অখণ্ডতা বজায় রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় এটি। উচ্চ পর্যায়ে এ ঘটনা নিয়ে যেতে হবে এবং বিশ্লেষণ করে দেখতে হবে। অবাক হচ্ছি নাম প্রকাশ না করেই কেনো টেনিসের মর্যাদাকে হেয় করা হচ্ছে। আমি আরও বেশি অবাক হবো যদি আমার নামটি এই তালিকায় আসে। এখনই সময় নামগুলো প্রকাশের।

এর আগে টেনিসের আরেক তারকা নোভাক জকোভিচ জানান, ম্যাচ পাতানোর জন্য প্রায় দুই লাখ মার্কিন ডলারের প্রস্তাব পেয়েছিলেন তিনি। আট বছর আগে (২০০৭ সালে) বাজিকররা তাকে ওই পরিমাণ অর্থ দিতে চেয়েছিলেন। তবে, সরাসরি তার সঙ্গে কোনো লেনদেনে আসেনি বাজিকররা।

অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ডে দ. কোরিয়ার চুং হাইওনকে হারানোর পর জকোভিচ সংবাদকর্মীদের বলেন, আমি ম্যাচে নামার আগেই শুনেছি ম্যাচ গড়াপেটার দায়ে প্রায় ১৬ জন টেনিস খেলোয়াড়ের দিকে ফিক্সিংয়ের অভিযোগ উঠেছে। তবে, এমন অভিযোগে আমি সক্রিয় নই। যেসব ম্যাচের কথা বলা হচ্ছে সেগুলো প্রায় দশ বছর আগে হয়ে যাওয়া ম্যাচ। অবশ্যই ম্যাচ ফিক্সিং কিংবা দুর্নীতির জন্য কাউকে ছাড় দেওয়া উচিত নয়।

জানা যায়, অভিযুক্তদের ব্যাংক হিসাব, তাদের ব্যবহৃত ফোন আর কম্পিউটার অনুসন্ধান ছাড়া তাদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব নয়। প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, যে ১৬ জন গত দশকে ম্যাচ গড়াপেটা করেছেন, তাদের মধ্যে আটজনই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে অংশ নিয়েছেন। দুর্নীতির বিষয়টি তদন্তাধীন হওয়ায় সন্দেহভাজন কোনো খেলোয়াড় বা বাজিকরের নাম-পরিচয় প্রকাশ করেনি কোনো সংবাদমাধ্যম।

বাংলাদেশ সময়: ০০১২ ঘণ্টা, ১৯ জানুয়ারি ২০১৬
এমআর

** ফিক্সিংয়ের অভিশাপ টেনিসেও, সন্দেহভাজন গ্র্যান্ড স্ল্যাম বিজয়ীরাও
** দুই লাখ ডলার প্রস্তাব পান জকোভিচ!

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।