প্রতিযোগিতার বিষয়ে বিস্তারিত জানানোর জন্য বুধবার (২৫ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। প্রতিযোগিতার সবগুলো ম্যাচ পল্টন মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন গ্রুপের স্পোর্টস এন্ড ওয়েলফেয়ার বিভাগের প্রধান এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন), এজিএম মেহরাহ হোসেন আসিফ, বাংলাদেশ বেসবল-সফটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লিটন, বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের প্রশাসক ও টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মো. ইয়াহিয়াসহ অন্যান্যরা।
এক বক্তব্যে এফএম ইকবাল বিন আনোয়ার (ডন) বলেন, ‘তৃণমূল থেকে শুরু করে প্রায় সব ধরনের খেলাধুলায় আমরা ওয়ালটন পরিবার পৃষ্ঠপোষকতা করছি। বেসবলের সঙ্গে আমাদের পথচলা নতুন নয়। এর আগেও ওয়ালটনের পৃষ্ঠপোষকতায় দুইবার জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ ও অন্যান্য প্রতিযোগিতা আয়োজিত হয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রথম মহিলা বেসবল প্রতিযোগিতার সঙ্গেও ওয়ালটন গ্রুপ সম্পৃক্ত হবে। টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স-আপ দলকে ওয়ালটন গ্রুপের পক্ষ থেকে আকর্ষণীয় হোম অ্যাপ্লায়েন্স দিয়ে উৎসাহিত করা হবে। আমি এই প্রতিযোগিতার সার্বিক উন্নতি ও সাফল্য কামনা করছি। ’
বাংলাদেশ বেসবল-সফটবল অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম লিটন বলেন, ‘বাংলাদেশ বেসবল খুব একটা জনপ্রিয় নয়। তারপরও আমাদের প্রচেষ্টার ফলে হাঁটি হাঁটি পা পা করে এগিয়ে যাচ্ছে বেসবল খেলাটি। আসলে কোয়ালিটি খেলোয়াড় তৈরি করতে না পারলে দেশের বাইরে ভালো কিছু করা সম্ভব নয়। আমরা কোয়ালিটি খেলোয়াড় তৈরি করার চেষ্টা করছি। অধিকাংশ পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান বেসবল খুব একটা বোঝে না। তাই তারা পৃষ্ঠপোষকতায়ও খুব একটা এগিয়ে আসে না। কিন্তু ওয়ালটনের মতো বড় একটি প্রতিষ্ঠান আমাদের পাশে আছে। তাদের সঙ্গে বেসবল-সফটবল অ্যাসোসিয়েশনের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ওয়ালটনের মতো একটি প্রতিষ্ঠান আমাদের পাশে থাকায় আমরা গর্বিত। আশা করছি ভবিষ্যতেও তারা আমাদের পাশে থাকবে। ’
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় ৬টি দলকে নিয়ে অনুষ্ঠিত হবে এবারের এই প্রতিযোগিতা। দলগুলো হলো বাংলাদেশ পুলিশ, ঢাকা কমার্স কলেজ, বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সিরাজগঞ্জ জেলা, সিলেট জেলা, ঢাকা জেলা ও রাজশাহী জেলা। প্রত্যেক দলে ১৫ জন করে খেলোয়াড় থাকবে। কিন্তু খেলবে ৯ জন।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০১৭
এমআরপি