ভাংড়া গ্রামের আমচাষি আব্দুল্লাহ বলেন, সার, বীজ এবং কীটনাশকে খরচ করে ধান, গম, ভুট্টা চাষে যে পরিমাণ খরচ হয় সে পরিমাণ লাভ হয় না। কিন্তু আম চাষ করে সহজে বেশি লাভবান হওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, ফসল চাষে পরিশ্রম বেশি কিন্তু সেই তুলনায় আম চাষে পরিশ্রম কম। বেশি পরিশ্রম করে যেখানে ফসল চাষ করে উৎপাদন খরচই উঠে না, সেখানে কম পরিশ্রমে আম চাষে লাভবান হওয়া যাচ্ছে। এ কারণে দিন দিন রাজশাহীতে ফসলি জমিতে আম বাগান বাড়ছে। কয়েকজন আমচাষি বলেন, যে কোনো ফসলের চেয়ে তুলনামূলক বেশি লাভের কারণে ফসলের জমিতে আমের বাগান তৈরি হচ্ছে। আমের বাগান তৈরি করায় কৃষকরা প্রতিবছর অল্প শ্রমেই পাচ্ছেন মোটা অঙ্কের টাকা।
তবে ফসলি জমিতে এভাবে আমবাগান করার দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতি দেখছেন সচেতন মহল। তাদের আশঙ্কা, জমি কমে গেলে ধান উৎপাদন কমে যাবে। এতে ভবিষ্যতে দেশ খাদ্য সংকটে পড়তে পারে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীর প্রায় সব এলাকায় ফসলি জমিতে গড়ে উঠছে বিভিন্ন জাতের আমবাগান। ফসলি জমিকে আমবাগান বানানোর যেন প্রতিযোগিতা চলছে রীতিমত।
ফল গবেষণা কেন্দ্র বিনোদপুর, রাজশাহীর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলীম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, অনেক এলাকার কৃষক ধান কিংবা সবজির ফসলের চেয়ে আম চাষ করে বেশি লাভবান হন। যে কারণে এখন কৃষি জমির ওপর আমবাগান হচ্ছে। যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে।
রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক দেব দুলাল ঢালি বলেন, চাষিরা আমগাছের নিয়মিত পরিচর্যা করেন এবং যত্ন নেন। যার কারণে প্রতি বছরই ভালো ফলন হচ্ছে। রাজশাহীতে প্রায় ১৭ হাজার হেক্টর জমিতে আম বাগান রয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৩৬ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৮
এমআরএম/এইচএ/