তিনি বলেন, ‘রানি ভিক্টোরিয়ার আমলে এখানে ব্রিটিশ শাসন ছিল। তিনি (রানি) তখন এই আম খেতে চেয়েছিলেন।
শনিবার (০২ জুন) ‘আমের দেশে নতুন বেশে’ শীর্ষক আলোচনায় সভাপতির বক্তব্যে নঈম নিজাম একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, মুঘল আমলে আমের খুব চাহিদা ছিল। সম্রাট হুমায়ূনের গল্পে বলা হয়, বাংলার মুল্লুক থেকে আম আনো। তাই আম বলতেই বাংলা তথা রাজশাহীর কথাই আসে।
ইউরোপে বাংলাদেশের আমের ব্র্যান্ডিং করতে পারলে সারা পৃথিবীতে জায়গা হয়ে দাঁড়াবে উল্লেখ করে নঈম নিজাম বলেন, ‘যথাযথ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে এটা করা যাবে। মিডিয়ার মাধ্যমে আমাদের এ ব্র্যান্ডিং করা সম্ভব। আম আর ইলিশ...। আম সারা বাংলাদেশই উৎপাদিত হয়। কিন্তু রাজশাহীর আমের চাহিদা সারা পৃথিবীতেই আছে, থাকবে। ’
‘ঢাকার ফুটপাতে কিন্তু লেখা থাকে রাজশাহীর আমের মেলা। তাই ভয় পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। স্পষ্ট করে বলছি, রাজশাহীর আমের চাহিদা সব সময় থাকবে। ’
তিনি এও বলেন, ফলমালিন মাইনর। তবে একটা জায়গায় সতর্ক থাকতে হবে। পোকার বিষয়টা যদি ভুল করে চলে যায়, তবে ইহ জীবনে আর নেবে না। পোকার আম ভুল ক্রমেও পাঠানো যাবে না। পশ্চিমা বিশ্ব মজা পেয়ে গেলে কিংবা মিডিল ইস্টও বড় বাজার হতে পারে। ব্যান্ডিংয়ের ক্ষেত্রে আমরা ইস্ট ওয়েস্ট মিডিয়া গ্রুপ সহযোগিতা করব। আমরা যত প্রচার করার দরকার, তা করব।
একটা কথা বলব, ব্র্যান্ডিংটা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিতে হবে। ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচনের সময় বাংলাদেশের কাপড় পড়ছেন বলে জানিয়েছিলেন। তাই ব্যান্ডিংটা অনেক উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এখন অনেক দেশেই বাংলায় সাইনবোর্ড আছে। বাংলাদেশের ছেলেরা অনেক বড় বড় জায়গায় সারা পৃথীবির বড় বড় প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। তাই আম নিয়ে আন্তর্জাতিক ব্যান্ডিংটা করতেই হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩০৫ ঘণ্টা, জুন ০২, ২০১৮
টিএ/