ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

প্রথম দিনেই দর্শক মাতালো ‘চাইনিজ অ্যাক্রোবেট শো’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৪, ২০১৮
প্রথম দিনেই দর্শক মাতালো ‘চাইনিজ অ্যাক্রোবেট শো’ চাইনিজ শিল্পীদের ড্যান্স, ছবি: বাংলানিউজ

কক্সবাজার: দেশের দীর্ঘতম সমুদ্র নগরী কক্সবাজারের পর্যটন শিল্পে যুক্ত হলো চাইনিজ অ্যাক্রোবেট শো। পারিবারিক বিনোদনের এই ব্যবস্থার উদ্যোক্তা ইন্ডিগো ডটবিডি নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান।

বৃহস্পতিবার (০৪ অক্টোবর) যাত্রার প্রথম দিনেই স্থানীয় লোকজন ছাড়াও বিপুল সংখ্যক পর্যটক চাইনিজ শিল্পীদের মনোমুগ্ধকর অ্যাক্রোবেট শো উপভোগ করেন। দর্শকদের করতালি আর চাইনিজ অ্যাক্রোবেট দলের দম বন্ধ করা প্রদর্শনী কক্স কার্নিভাল সেন্টারকে দিয়েছিল ভিন্ন রূপ।

এসময় চাইনিজ শিল্পীরা ফানি ক্লাউনস, কিকস দ্য বোল, ড্রাগন ড্যান্সসহ কয়েকটি মনোমুগ্ধকর গেম প্রদর্শন করেন।

এর আগে বুধবার (০৩ অক্টোবর) রাতে শহরের কক্স কার্নিভাল সেন্টারে এই বিনোদন কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

প্রদর্শনী দেখতে এসে সাংবাদিক শহিদুল্লাহ কায়সার বাংলানিউজকে বলেন, যান্ত্রিকতার এই যুগে মানুষের সৃষ্টিশীলতা প্রায় লুপ্ত হতে চলেছে। তাই মানুষ প্রতিনিয়ত নিজেকে সমর্পণ করছে যন্ত্রের কাছে। বিনোদন থেকে শুরু করে দৈনন্দিন কাজকর্মে সব ক্ষেত্রেই। সবকিছুতেই যেনো মানুষের বিকল্প হয়ে দাঁড়াচ্ছে যন্ত্র। তাই এ যুগে মানুষ ভুলে গেছে শারীরিক কসরত জীবনে কতোটা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, শুধু তাই নয়, শারীরিক কসরত কতোটা শৈল্পিকভাবে উপস্থাপন করা যায় এবং তা কতোটা বিনোদন মানুষকে দিতে পারে অ্যাক্রোবেট শোতে তা-ই দেখিয়ে দিলেন চাইনিজ শিল্পীরা। চাইনিজ শিল্পীদের ড্যান্স, ছবি: বাংলানিউজকৃতি ফুটবলার ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সদস্য বিজন বড়ুয়া বাংলানিউজকে বলেন, আসলেই কক্সবাজারে বিনোদন বলতে সমুদ্র সৈকত ছাড়া আর কিছু নেই। পরিবারের সবাইকে নিয়ে যাওয়ার মতো কোনো বিনোদন কেন্দ্র নেই বললেই চলে। পর্যটনের এমন অবস্থায় শোটি কক্সবাজার পর্যটন শিল্পে অবশ্যই নতুন মাত্রা যোগ করবে।

কক্স কার্নিভাল সেন্টারের পরিচালক (মার্কেটিং) মহিউদ্দিন খান খোকন বাংলানিউজকে বলেন, পর্যটকদের প্রধান গন্তব্য কক্সবাজার। শুধু বাংলাদেশ থেকে নয়, সারাবিশ্ব থেকে পর্যটকরা কক্সবাজারে আসেন এই সমুদ্র দেখার জন্য। আর তাই পর্যটনকে ঘিরে কক্সবাজারে প্রচুর আবাসন সুবিধা তৈরি হয়েছে। কিন্তু একটি অভিযোগ প্রতিনিয়তই আমরা শুনে আসছি। এখানে থাকার জায়গা আছে, কিন্তু বিনোদনের কোনো ব্যবস্থা নেই। এই বিষয়টি মাথায় রেখেই কক্স কার্নিভালে আমরা সেটা করেছি।  

‘আমরা বিশ্বাস করি, এখানে বেড়াতে আসা পর্যটকরা পরিবার নিয়ে চাইনিজ অ্যাক্রোবেট শো দেখলে ভ্রমণে নতুন মাত্র যোগ হবে। ’

বুধবার রাত ৮টার দিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (কউক) চেয়ারম্যান লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) ফোরকান আহমদ, পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন, কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান, হোটেল কক্স টুডে’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল কাইয়ুম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি রেজাউল করিম প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৮
টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।