ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

পর্যটন

আগ্রায় পর্যটক টানতে এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকায় কবে?

আসিফ আজিজ, অ্যাসিসট্যান্ট আউটপুট এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৮
আগ্রায় পর্যটক টানতে এক্সপ্রেসওয়ে, ঢাকায় কবে? যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে দিল্লি থেকে ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় এ গন্তব্যের দূরত্ব কমিয়ে এনেছে প্রায় অর্ধেকে

দিল্লি থেকে: দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা নিঃসন্দেহে কোনো দেশের পর্যটন বিকাশের প্রধান অন্তরায়। যতো দুর্গম, প্রত্যন্ত এলাকা হোক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো হলে মানুষ সেখানে যাবেই। আর সেটা যদি পছন্দের স্থান হয় তবে তা হয়ে উঠবে আরও কাঙ্ক্ষিত। আর পর্যটকররা এখন কম সময়ে ঝামেলামুক্ত পরিস্থিতিতে ঘুরতে পছন্দ করেন।

ভারতের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত পর্যটন স্থানের একটি আগ্রা। বিশ্বের সপ্তাশ্চর্যের একটি তাজমহল অবস্থিত এখানেই, মোঘল সম্রাট আকবর, জাহাঙ্গীর, বাবর, আওরঙ্গজেবের স্পর্শ এর পরতে পরতে।

আগ্রাফোর্ট, ফতেপুর সিক্রির মতো দৃষ্টিনন্দন, সমৃদ্ধ প্রত্নসম্পদও রাজধানী নয়াদিল্লির নয়ডা থেকে ২শ কিলোমিটার দূরে উত্তর প্রদেশের জেলা আগ্রায়।  

আগ্রা যাওয়ার সড়ক আগেও ছিল, তবে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে দিল্লি থেকে ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় এ গন্তব্যের দূরত্ব কমিয়ে এনেছে প্রায় অর্ধেকে। শুধু পর্যটনের বিকাশ, দেশি-বিদেশি পর্যটকদের নির্বিঘ্ন যাত্রার জন্য ২শ কিমির কংক্রিটের সড়ক বানিয়েছে ভারত সরকার। মাঝে অল্প কিছু অংশ রয়েছে পিচ ঢালাই। শহর থেকে বেরোনোর পর আট লেনের এ সড়ক পুরো যানজটমুক্ত।

আগে দিল্লি থেকে একদিনে তাজমহল দেখে ফেরা কঠিন ছিল। কারণ শুধু যাতায়াতেই লেগে যেত ১৪-১৫ ঘণ্টা। কিন্তু যমুনা নদীর কোলঘেঁষে যাওয়া এ সড়ক সময় কমিয়ে এনেছে ৭-৮ ঘণ্টায়। যেটি পর্যটন বিকাশে বড় ভূমিকা রাখছে। প্রতিবছর প্রায় এক কোটি পর্যটক তাজমহল ভ্রমণ করেন। ২০ কোটির বেশি জনসংখ্যার উত্তর প্রদেশের এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন চলে প্রায় একলাখ গাড়ি।

যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে দিল্লি থেকে ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় এ গন্তব্যের দূরত্ব কমিয়ে এনেছে প্রায় অর্ধেকে

২০১২ সালে নির্ধারিত সময়ের দুবছর আগে উদ্বোধন হওয়া এ সড়ক ভারত সরকারের পর্যটনবান্ধব কার্যক্রমের একটি অংশ। সুন্দর পরিকল্পনা আর ব্যবস্থাপনা পর্যটনকে কত এগিয়ে নিতে পারে তার উদাহরণ হতে পারে সড়কটি।

এবার আসা যাক ঢাকার কথায়। বাংলাদেশ যে পর্যটনের জন্য অপার সম্ভাবনার দেশ তাতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু নেই কোনো যুতসই পরিকল্পনা, সদিচ্ছা। দেশের অধিকাংশ পর্যটন স্পটে যেতে পোহাতে হয় ভোগান্তি। শুধু ঢাকা শহর থেকে বের হতেই লেগে যায় কয়েক ঘণ্টা সময়।

বিশ্বের সবচেয়ে বড় সমুদ্রসৈকত বাংলাদেশের কক্সবাজারে। বাস কিংবা ট্রেনযোগে ভেঙে যেতে (পরিবহন পরিবর্তন করে) সময় লাগায় অনেকে যেতে পারেন না। সবচেয়ে বড় গলার কাঁটা কাঁচপুর থেকে কুমিল্লা পর্যন্ত। ঢাকা-চট্টগ্রাম কিংবা ঢাকা-কক্সবাজার রুটে যদি এমন একটি এক্সপ্রেসওয়ে করা যায় তাহলে ওইসব এলাকা কেন্দ্রীক পর্যটক তাজমহল কিংবা ফতেপুর সিক্রির মতো কয়েকগুণ বাড়বে সন্দেহ নেই।

ঢাকার সঙ্গে দূরে কিংবা কাছের যে কোনো গন্তব্যে এমন একটি এক্সপ্রেসওয়ে মানুষের কোথাও ভ্রমণের আকাঙ্ক্ষা বাড়াবে। দেশও হবে আরো সমৃদ্ধ।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৭, ২০১৮ 
এএ/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।