ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

পর্যটন বর্ষের টাকা না পাওয়ায় মন্ত্রীর দুঃখ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩৪২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৬
পর্যটন বর্ষের টাকা না পাওয়ায় মন্ত্রীর দুঃখ ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: পর্যটন বর্ষের দু’মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও কোনো টাকা না পাওয়ায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন। টাকা পাবেন কিনা, পেলেও কতো টাকা পাবেন তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে তার মধ্যে।


 
মঙ্গলবার (০৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রতি বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টিভঙ্গি’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ শঙ্কা প্রকাশ করেন।
 
মন্ত্রী বলেন, পর্যটন বর্ষকে সামনে রেখে দেশে-বিদেশে ক্যাম্পেইনের জন্য তিন বছরে ২শ কোটি টাকা ব্যয়ের প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু পরিকল্পনা কমিশন বলে, ক্যাম্পেইন আবার কী জিনিস!
 
মন্ত্রী দুঃখ করে বলেন, পর্যটন বর্ষ শুরু হয়ে দেড় মাস পেরিয়ে যাচ্ছে এখনও কোনো টাকা পাইনি। ৬০ কোটি টাকার কথা বলা হলেও জানি না কতো টাকা পাবো।
 
ট্যুরিজম বোর্ডের উপর ক্ষুব্ধ মন্ত্রী
পর্যটন নিয়ে গবেষণার জন্য ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে পর্যটন বোর্ডে যোগাযোগ করা হলে, তাদের কোনো পাত্তাই দেয়নি বোর্ড। এ নিয়ে মন্ত্রীর সামনে অভিযোগ তুলে বলা হয়, গবেষণার জন্য বোর্ডের সহযোগিতা চাইতে গেলে তারা দেখাও করেননি। জরুরি কাজের ব্যস্ততা দেখিয়ে তাদের ফিরিয়ে দেন।
 
বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি দিয়ে মন্ত্রী পর্যটন বোর্ডের প্রতি বেশ ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, আমি অবশ্যই তাদের কাছে জানতে চাইবো, কী এমন জরুরি ব্যস্ততা যে পযটনের একটি গবেষনায় তারা সময় দিতে পারেননি।
 
তিনি বলেন, ট্যুরিজম বোর্ড ও করপোরেশন পর্যটন বিকাশের জন্য করা হয়েছে। তারা যদি এ ধরনের গবেষণা কাজকে জরুরি মনে না করে অন্যকিছুকে জরুরি মনে করবেন কেন!
 
অনুষ্ঠানে পর্যটন উদ্যেক্তা, শিক্ষক ও গবেষকসহ অনেকে পর্যটন বোর্ডের কাজে অসন্তোষ ও পর্যটনের বোর্ড সিওকে সরিয়ে দেওয়ারও প্রস্তাব দেন।
 
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয় ও অস্ট্রোলিয়ার মনাস বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউটের পাঁচজন শিক্ষক মিলে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পের প্রতি বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে একটি গবেষণা প্রতিবেদন তৈরি করেন।
 
এতে তারা দেখান, বাংলাদেশের কেন বিদেশি পর্যটক আসতে চান ও কী কী বাধা তারা মনে করেন। একই সঙ্গে এ গবেষণায় পর্যটকদের চাহিদাগুলোও তুলে ধরা হয়। গবেষণাটি ঢাকা সিটিতে অবস্থানরত বিদেশি পর্যটক ও শিক্ষার্থীদের উপর পরিচালিত করে তথ্য সন্নিবেশ করা হয়।
 
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান সবুর খান। আরও আলোচনা করেন- ট্যুর অপারেটর অ্যসোসিয়েশন ‍অব বাংলাদেশের সভাপতি প্রফেসর ড. আকবর উদ্দিন আহমদ, ইত্তোহাদ এয়ার ওয়েজের মহাব্যবস্থাপক হানিফ জাকারিয়া প্রমুখ।
 
বাংলাদেশ সময়: ২৩৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০১৬
এসএ/এসএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।