ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ট্রাভেলার্স নোটবুক

'সম্প্রীতির শহরে অস্থির রাজনীতি, তবুও পর্যটক টানছে নেপাল'

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৫ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৭
'সম্প্রীতির শহরে অস্থির রাজনীতি,  তবুও পর্যটক টানছে নেপাল' 'সম্প্রীতির শহরে অস্থির রাজনীতি, তবুও পর্যটক টানছে নেপাল'-ছবি: বাংলানিউজ

নেপাল থেকে: 'আমাদের রাজধানী কাঠমান্ডু।হিন্দু ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সহাবস্থান এখানে, তাই সম্প্রীতির শহর বলা হয়। কিন্তু রাজনৈতিক অস্থিরতা লেগেই আছে।  তবে তার অাঁচ পর্যটকদের গায়ে লাগে না। তাই পর্যটকদের টানছে নেপাল।'

কাঠমান্ডুর রেডিসন হোটেলের লবিতে নিজের দোকানে বসে বাংলানিউজকে এসব কথা জানান  মি. থাপা হারি। ত্রিভুবন ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক ডিগ্রি নিয়ে স্বাধীন পেশা হিসেবে ব্যবসাকে বেছে নেন তিনি।

তা-ও ১৮ বছর আগের কথা। শুরু করেন দোকানি। প্রথমে পুঁজি দিয়েছিলেন স্থানীয় মুদ্রায় ২৫ লাখ।
দুই সন্তানের জনক হারি জানান, পর্যটকরা হিমালয়ের টানেই নেপাল আসেন। কাঠমান্ডু রাতযাপন করেন। এখানে প্রচুর হোটেল, বার, নাইট ক্লাব, কেসিনো রয়েছে। রাতভর সরগরম থাকে পর্যটকদের প্রিয় আমোদকেন্দ্রগুলো। এরপর তারা ফেউয়া লেখের শহর পোখরা ছুটে যান। সেখানেও থাকা-খাওয়ার চমৎকার পরিবেশ গড়ে উঠছে।

মি. হারির ছোট্ট দোকানে আছে রকমারি তৈজসপত্র, অলংকার ও শালসহ পোশাকসামগ্রী। কাজের ধরন, নকশার বৈচিত্র্য, রঙের উজ্জ্বলতা, উপকরণের হেরফের আর আকারের ওপর নির্ভর করে দরদাম।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পর্যটকরা নেপালের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, শিল্পকর্ম, পোশাক, অলংকার, কারুকার্যখচিত অপূর্ব নকশার তৈজসপত্র, ধর্মীয় মূর্তি কিনে নেন। তারা এসব নিজ দেশে প্রিয়জনদের স্মারক হিসেবে উপহার দেন। আবার কেউ কেউ ব্যক্তিগত সংগ্রহশালায় রাখেন।

তিনি বলেন, স্থানীয়ভাবে তৈরি কপারের একটি বুদ্ধমূর্তি এক হাজারে পাবেন। আবার বড় একটি কারুকার্যখচিত মূর্তি কয়েক লাখও হতে পারে। একটি গলার মালার সেট ১ থেকে ২০ হাজারে পাবেন। একেকটি শাল পাবেন ১-১০ হাজারে। এ ছাড়া হাতব্যাগ, অলংকার, খেলনা পাবেন সুলভে। 'সম্প্রীতির শহরে অস্থির রাজনীতি,  তবুও পর্যটক টানছে নেপাল'-ছবি: বাংলানিউজ

বাংলাদেশ থেকে ক্রমে পর্যটকের আনাগোনা বেড়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ভূমিকম্পে তছনছ হওয়া নেপাল অল্পসময়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। কাঠমান্ডুতে এখন পানির পাইপলাইন বসানোর কাজ চলছে, তাই খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। আশাকরি ছয় মাসের মধ্যে কাজটি শেষ হবে। তখন কাঠমান্ডু হবে ছিমছাম সুন্দর নগরী। এটি সম্ভব হয়েছে সম্ভাবনাময় পর্যটনশিল্পের কারণে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে পর্যটক আসেন। অনেকে আসেন এভারেস্ট জয় করতে।   তবে বাংলাদেশিদের সিংহভাগ আসেন বেড়াতে। তারা পোখরা হয়ে অন্নপূর্ণা, লুম্বিনি পর্যন্ত যান।

বাংলাদেশ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের বর্ণমালা আর হিন্দি বর্ণমালা একই। তাই হিন্দি নিউজপেপার পড়তে পারি, অনেক খবর পাই। ঢাকা ক্যাপিটাল। চিটাগাং পোর্ট সিটি। সাউথ-ইস্টে। আমি থোরা থোরা বাংলা বলতে পারি। আসেন, কী নিবেন, পছন্দ হয়েছে ইত্যাদি।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমি হিন্দু। তাই হিন্দু মন্দিরে যাই। আবার বৌদ্ধমন্দিরেও যাই। ধর্মীয় দ্বন্দ্ব নেই। সবার সঙ্গে মিলেমিশে চলি। এখানে দুই ধরনের ফেস (মুখ) আছে। একটি নেপালি, আরেকটি ইন্ডিয়ান। আমার ফেস দেখুন, নেপালি।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৩ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৭
এআর/আইএসএ/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।