ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

আগরতলা

মাঠের দিকে তাকালে ফুলকপির হাসি

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৪, ২০১৮
মাঠের দিকে তাকালে ফুলকপির হাসি ক্ষেতজুড়ে ফুলকপি। ছবি: বাংলানিউজ

আগরতলা: ত্রিপুরার সোনামুড়া এলাকার মাঠ ভরা শীতের সবজি তারপরও কৃষকদের মুখে হাসি নেই। চাষিদের দুঃখ গত বছরের বন্যা খেয়েছে লাভের অংক।

ত্রিপুরা রাজ্যের সবজি চাষের অন্যতম হলো সিপাহীজলা জেলার অন্তর্গত সোনামুড়া মহকুমার মেলাঘর, মোহনভোগ, নলছড়, ধনপুরসহ আশপাশের এলাকা।

এ এলাকা গুলোর পাশ দিয়ে বয়ে গেছে রাজ্যের বৃহতম নদী গোমতী।

বর্ষাকালে নদীর পানি যখন দুই কোল ছাপিয়ে বন্যার সৃষ্টি করে। কৃষকদের সমস্যায় ফেলে আবার এই পানিই চাষিদের জন্য নিয়ে আসে হাসি। কারণ পানির সঙ্গে যে পলি আসে জমিতে তা চাষের জন্য খুব উপকারী। ক্ষেত থেকে ফুলকপি তুলে বিক্রির জন্য হাটে নিচ্ছেন কৃষক।  ছবি:তাছাড়া গোমতীর পানিকে সেচের কাজে ব্যবহার করে ও চাষিদের অক্লান্ত পরিশ্রমে প্রতিবছর শীতের মৌসুমে এসব এলাকাগুলোতে প্রচুর সবজি চাষ হয়।

এ সবজি আসে রাজধানী আগরতলাসহ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকার বাজারগুলোতে। তাই শীতকালে এ এলাকাগুলির দিগন্ত বিস্তৃত মাঠের দিকে তাকালে শুধু রকমারি সবজি নজরে আসে। বিঘার পর বিঘা জমিতে হাসতে দেখা যায় ফুলকপি, মূলা ও টমেটোসহ নানান সবজি।

মেলাঘর ও সোনামুড়া সড়কের দু'পাশে গত বছরেও চাষিরা প্রচুর পরিমাণ ফুলকপি চাষ করেছে। কোনো কোনো ক্ষেত থেকে কপি কাটা হচ্ছে আবার কোনো কোনো ক্ষেতে কপি এখনো একে বারে ছোট আকারের রয়েছে। বড় আকারের বাঁধাকপির ক্ষেতগুলোকে এক ঝলক দেখলে মনে হবে যেন ক্ষেতের মধ্যে কেউ ফুল ছিটিয়ে রেখেছে।

ক্ষেত থেকে বাঁধাকপির পাতা দা দিয়ে ছেঁটে তা উচু রাস্তায় রাখছেন কয়েকজন কৃষক। আবার কেউ রাস্তার পাশে রাখা কপিগুলোকে বস্তায় ভরছেন পাইকারি বাজারে পাঠানোর জন্য।

কথা হলো মাঠে কর্মরত বছর পঞ্চাশ বয়সি চাষি মমিনুল ইসলামের সঙ্গে।

তিনি বাংলানিউজকে জানান, এবার দুই বিঘা জমিতে তিনি ফুলকপি চাষ করেছেন। তার ক্ষেতের একাংশ থেকে কপি তোলে তা বাজারে পাঠাচ্ছেন। আবার কিছু ক্ষেতে এখনো কপি চারায় ফুল আসেনি।  ক্ষেতজুড়ে ফুলকপি।  ছবি: বাংলানিউজতিনি আরো জানান, এবার কপি চাষ করে তেমন লাভ হয়নি। তিনবার বন্যা হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সর্বশেষ বন্যায়। এর কারণে বেশ বড় আকারে হওয়ার পর বন্যার পানিতে কপি চারা পচে গেছে। তাই আবার নতুন করে কপি চারা লাগাতে হয়েছে। তাই কপি তুলতে দেরি হচ্ছে এবং চাষের খরচা বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।

তিনি বলেন, চাষিরা সারাদিন মাঠ থেকে সবজি তোলে ভালো করে প্যাকেট করে তা সন্ধ্যা নাগাল রাজধানীসহ রাজ্যের অন্যান্য শহরে পাঠায়।

পাইকারি আড়তের সবজির মূল্য প্রতিদিনই হেরফের ঘটে। রাস্তা দিয়ে চলাচলকারী যানবাহনের মালিকসহ যাত্রী সাধারণ ক্ষেত থেকে তোলে আনা টাটকা সবজি কিনে নেন। প্রতিটি কপি ১০রুপি করে বিক্রি করছেন। এই কপিগুলি এক একটির ওজন সাড়ে পাঁচশ থেকে সাড়ে ছয়শ গ্রাম ওজন হবে বলেও জানান মমিনুল।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৪, ২০১৭
এসসিএন/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।