বৃহস্পতিবার (০৮ জুন) নাটোরের একডালায় প্রাণ এগ্রো লিমিটেডের কারখানায় স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে কারখানার ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার হযরত আলী এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, ফ্যাক্টরিতে আম প্রবেশের সময় কোয়ালিটি কন্ট্রোলার (কিউসি) দ্বারা আম পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তা গ্রহণ করা হয়।
আম নেওয়ার সময় আরেকটি জিনিস লক্ষ্য করা হয় তা হলো আমের ওজন। ল্যাব টেস্টে উত্তীর্ণ হলেই কেবল তার আম ফ্যাক্টরিতে প্রসেসের জন্যে নেওয়া হয়। এ আমগুলো ফ্যাক্টরিতে বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্রাসিং করে পাল্প সংগ্রহ করে তা অ্যাসেপটিক প্রযুক্তিতে সংরক্ষণ করা হয়। এ পদ্ধতির সুবিধে হল হিমায়িতকরণ ছাড়া কমপক্ষে একবছর জন্য পাল্প নিরাপদ, তাজা ও স্বাদ ধরে রাখা যায়।
এই পাল্প থেকে প্রাণ এর বিভিন্ন ম্যাংগো ড্রিংক, ম্যাংগো বার ও জেলিসহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী তৈরি করা হয়। এছাড়া কাঁচা আম থেকে বিভিন্ন ধরনের আচার তৈরি করা হয়। প্রাণ এর এসব পণ্য এখন বিশ্বের ১৩৪টি দেশে নিয়মিত রপ্তানি হচ্ছে বলে তিনি জানান।
হযরত আলী আরও জানান, নাটোরে প্রাণ’র কৃষিভিত্তিক শিল্প কারখানা গড়ে ওঠার কারণে কারখানায় সরাসরি প্রায় ৭ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। আমের মৌসুমে বাড়তি আরো দুই থেকে তিন হাজার শ্রমিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়। এসব শ্রমিকের প্রায় ৯০ ভাগ নারী। এছাড়াও কারখানায় আমচাষি ও সরবরাহকারীদের প্রতিষ্ঠানে পরোক্ষ কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হয়।
প্রাণ এগ্রো বিজনেস লিমিটেডের কন্ট্রাক্ট ফার্মিং বিভাগের সিনিয়র ম্যানেজার কামরুজ্জামান জানান, নাটোর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, দিনাজপুর এবং সাতক্ষীরায় প্রাণ’র প্রায় ১৫ হাজার চুক্তিবদ্ধ আমচাষির কাছ থেকে আম সংগ্রহ করা হয়। প্রাণ’র কৃষি হাবের মাধ্যমে এসব আমচাষিদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করা হয়। স্বল্পমূল্যে উন্নতজাতের চারা প্রদান, সার, কীটনাশক ব্যবহার, রোপন প্রক্রিয়া ও গাছ থেকে আম সংগ্রহ সম্পর্কে প্রাণ এগ্রো বিজনেস লিমিটেডের অভিজ্ঞ ফিল্ড সুপারভাইজারদের মাধ্যমে তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের হেড অব মিডিয়া সুজন মাহমুদ, অ্যাসিসটেন্ট জেনারেল ম্যানেজার (পিআর) জিয়াউল হক ও প্রাণ এগ্রো লিমিটেড কারখানার সিনিয়র ম্যানেজার (অ্যাডমিন) আব্দুল কাদের সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১১ ঘণ্টা, জুন ০৭, ২০১৭
এসএইচ