মঙ্গলবার (৩ অক্টোবর) সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, ২০১৭-১৮ বোরো ও রবি মৌসুমে ৭ লাখ ৭৬ হাজার ২০২ জন কৃষকের পুনর্বাসনের জন্য ১৩৬ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৫৫১ টাকার সার ও বীজ প্রদান করবে সরকার।
কৃষিমন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, সিলেট, সুনামগঞ্জ, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ, নেত্রকোনা, জামালপুর, শেরপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, জয়পুরহাট, গাইবান্ধা, নওগাঁ, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, নাটোর, টাঙ্গাইল ও রাজশাহীর কৃষকদের এই বীজ ও সার দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, হাওরাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জ জেলায় পাহাড়ি ঢল ও আকস্মিক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের পুর্নবাসনে বরাদ্দ থাকছে ১১৭ কোটি টাকা। ২০১৭-১৮ বোরো মৌসুমে এসব জেলার ৬ লাখ ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে সার, বোরো ধানের বীজ, ডিএপি, এমওপি সার দেওয়া হবে। এছাড়া প্রত্যেক কৃষককে নগদ দেওয়া হবে ১ হাজার টাকা।
‘প্রত্যেক কৃষককে ১ বিঘা জমির জন্য ৫ কেজি বোরো ধানের বীজ, ২০ কেজি ডিএপি, ১০ কেজি এমওপি সার দেওয়া হবে। প্রতিকেজি বোরো ধান বীজের দাম ধরা হয়েছে ৫১ টাকা, ডিএপি সার ২৩ টাকা ও এমওপি সার ১৩ টাকা। ’
এরমাধ্যমে ৩ লাখ ২৪ হাজার ৪৯৫ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন করতে পারবেন কৃষকরা। সেজন্য সরকারের প্রতি ১ টাকা ব্যয়ের বিপরীতে ১১ দশমিক ৯ টাকা আয় করা যাবে বলে আশা করছেন কৃষিমন্ত্রী।
তিনি জানান, দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত নওগাঁ, কুড়িগ্রাম, জামালপুর, দিনাজুপর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, সিরাজগঞ্জ, রাজশাহী, রংপুর, নাটোর, নীলফামারী, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়, জয়পুরহাট, শেরপুর ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কৃষকদের জন্য বরাদ্দ থাকছে ১৯ কোটি ৯৯ লাখ ৯৯ হাজার ৫৫১ টাকা। এই অর্থ ২০১৭-১৮ বোরো ও রবি মৌসুমে ১ লাখ ৭৬ হাজার ২০২ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে গম, ভুট্টা, সরিষা, চিনাবাদাম, খেসারি, বোরো ধান চাষে বিনামূল্যে বীজ, ডিএপি, এমওপি, সার এবং শাক-সবজির বীজ প্রদানে ব্যয় করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে কৃষি সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দিন আবদুল্লাহসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩২২ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৩, ২০১৭
এসই/এইচএ/