ফলটির লাল রঙের হাসির ঝিলিক এখন ড্রাগনচাষিদের চোখে-মুখে। তাদের সাফল্যে অনুপ্রাণিত ও বাগান দেখে মুগ্ধ হয়ে চাষাবাদের চিন্তা করছেন আরও অনেকে।
অত্যন্ত সুস্বাদু ফলটির ওজন ২৫০ গ্রাম থেকে ৪০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়ে থাকে। বাজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়।
কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করে চারা ও সামান্য কিছু আর্থিক সহায়তা দিয়েছে রংপুরের বুড়িরহাট হর্টিকালচার সেন্টার। সব সময় সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের পাখাতিপাড়া, অসুরখাই ও আইসঢাল গ্রামে পরীক্ষামূলকভাবে ড্রাগন ফলের চাষে এ সফলতা এসেছে। অসুরখাই গ্রামের আহসানুল হক বাবু বাগান করে লাভবান হয়েছেন। আইসঢাল গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকও চমক দেখিয়েছেন ড্রাগনচাষে।
পাখাতিপাড়ার কৃষক রাশেদুজ্জামান মানিক তার ২৪ শতক জমির ১০ শতকে ড্রাগন ফলের গাছ আর বাকি ১৪ শতকে থাই পেয়ারা, মাল্টা, হাঁড়িভাঙ্গা আম রোপণ করে মিশ্র বাগান গড়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাগানটিতে ১৬০টির মতো গাছ রয়েছে, যেগুলো সিমেন্টের আরসিসি খুঁটিতে পেঁচানো টায়ারে ঝুলে আছে। বেশ কয়েকটি গাছের ফল এরই মধ্যে পাকতে শুরু করেছে। বাকিগুলোতেও ফুল-ফল ধরেছে।
গাছগুলো থেকে প্রায় ২০ বছর ফলন পাওয়া যাবে বলে সিমেন্টের খুঁটি ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান বাগানের মালিক কৃষক মানিক।
তিনি জানান, গত বছরের ০৬ জুন সাদা ফ্রেশ, পিংক স্কিন ও কালার ফ্রেশ- এ তিন জাতের ড্রাগন ফলের চারা রোপণ করেন। জাতগুলোর রং ও স্বাদে ভিন্নতা রয়েছে। এর মধ্যে সাদা ফ্রেসের আবরণ লাল হলেও ভেতরটা সাদা আর পিংক স্কিনের বাইরে ও ভেতরে লাল রঙের হয়ে থাকে।
পরিচর্যা, টায়ার ও অন্য খরচ মিলে প্রতিটি পিলারে এ পর্যন্ত ৩৬০ টাকা করে ৫৭ হাজার ৬০০ টাকা খরচ হয়েছে বলেও জানান কৃষক মানিক।
তিনি বলেন, ‘১৮ মাসে এ গাছে ফল আসে। তার আগেই পেয়ে ভালো লাগছে। ভালো লাভবান হতে পারবো’।
সৈয়দপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হোমায়রা মণ্ডল জানান, এখানকার মাটি ড্রাগন চাষের উপযোগী হওয়ায় মেয়াদের আগেই গাছে ফল ধরছে। যা কৃষকদের উৎসাহিত করছে।
দ্রুত এ ফলের আবাদ ছড়িয়ে পড়বে বলেও আশাবাদী তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০১৭
এএসআর