ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

ঝাল কমছে না খুচরা বাজারে! 

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ৭, ২০১৭
ঝাল কমছে না খুচরা বাজারে!  কাঁচামরিচ-ছবি-জি এম মুজিবুর

ঢাকা: বন্যায় ক্ষেত নষ্ট হওয়ায় ও আমদানি হঠাৎ করে কমে যাওয়ায় বাজারে তর তর করে বেড়েছে কাঁচামরিচের দাম। গত ৩-৪ দিন ধরেই মরিচের বাজারে এই অস্থিরতা দেখা গেছে। কেজি প্রতি ১৫০-১৬০ টাকার কাঁচামরিচের দাম বাড়তে বাড়তে গিয়ে ঠেকেছে ২৪০-২৬০ টাকায়। ফলে মরিচ কিনতে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন ক্রেতারা।

তবে পাইকারি বাজারে দাম কমার তথ্য পাওয়া গেলেও এর কোনো প্রভাব পড়েনি খুচরা বাজারে। খুচরা বাজারে মরিচের ঝাল থেকে দামের ঝালই বেশি।

ফলে দাম নিয়ন্ত্রণে আসার সম্ভাবনা ক্ষীণ দেখছেন খুচরা বিক্রেতারা।
 
শনিবার (৭ অক্টোবর) রাজধানীর মোহাম্মদপুর, মিরপুর-১ নম্বর ও পূর্ব রাজাবাজারের কাঁচাবাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
 
পাইকারি বাজারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কোনো কোনো পাইকারি বাজারে কাঁচামরিচ ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা কেজিপ্রতি বিক্রি হলেও অনেক বাজারে তা ২০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে।
 
খুচরা বাজারের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২৪০-২৬০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। যা চলছে গত ৩-৪ দিন ধরেও।

কাঁচামরিচ-ছবি-জি এম মুজিবুর
কাঁচামরিচের দাম বৃদ্ধি সম্পর্কে খুচরা বাজারের ব্যবসায়ীরা বলেন,  পাইকারি ব্যবসায়ীরা বন্যা ও আমদানি কমের কথা বলে বেশি দামে মরিচ বিক্রি করছে। তারা আরও বলছেন, ভারত থেকে মরিচ পূজার ছুটির কারণে আসছে না। ফলে চাহিদা অনুযায়ী যোগানের সঙ্কট দেখিয়ে তারা দাম বাড়িয়ে চলেছেন।
 
তারা আরও বলেন, বিভিন্নভাবে আমরা জানতে পেরেছি পাইকারি বাজারে মরিচের দাম কমেছে বলে পাইকারি বাজারের ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন। কিন্তু আমাদের কাছে তারা এখনো ২০০ টাকা কেজি দরেই বিক্রি করছেন।
 
রাজধানীর মোহাম্মদপুর কাঁচাবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী আমিনুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, দাম এখনো বাড়তি আছে। পাইকারি ব্যবসায়ীরা নিজেদের ওপর থেকে চাপ কমানোর জন্য দাম কমার কথা বলছেন।
 
রাজধানীর পূর্ব রাজাবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী শরিফুল শিকদার বাংলানিউজকে বলেন, পাইকারি ব্যবসায়ীরা মুখে দাম কমানোর কথা বলেও আমাদের কাছে বাড়তি দামেই বিক্রি করছেন। এখন ক্রেতারা বলবে দাম কমেছে কিন্তু  আমরা কমাচ্ছি না। আসলে দাম যে এখনো বেশি তা ক্রেতাদের বোঝানো যাবে না।
 
মিরপুর-১ নম্বরের পাইকারি ব্যবসায়ী সাজ্জাদ হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, গত ৩-৪ দিনের তুলনায় দাম কেজি প্রতি ১০-২০ টাকা কমেছে। তবে খুচরা ব্যবসায়ীরা এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে এখনো বাড়তি দামে বিক্রি করছেন। তবে আশা করা যায়, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যোগান স্বাভাবিক হলে দাম কমে যাবে।
 
তবে কিছু পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, রাজধানীর অনেক পাইকারি বাজারে ১৪০ টাকা কেজি প্রতি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে। কিছু অসাধু ব্যবসায়ী যোগানের সঙ্কট কাজে লাগিয়ে মাত্রা অতিরিক্ত হারে মরিচের দাম বাড়িয়েছেন।  
 
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা অক্টোবর ৭, ২০১৭
এমএসি/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।