ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

লক্ষ্মীপুরে কৃষকের গোলায় উঠছে ২ লাখ মে.টন ধান

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৫১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
লক্ষ্মীপুরে কৃষকের গোলায় উঠছে ২ লাখ মে.টন ধান ধান কাটছে কৃষক। ছবি: বাংলানিউজ

লক্ষ্মীপুর : লক্ষ্মীপুরে চলছে ধান কাটা উৎসব। মাড়াই, শুকানো ও সংরক্ষণে ব্যস্ত কৃষক পরিবার। এবার উপকূলীয় এ জেলায় ধানের ভালো ফলন হয়েছে। ছাড়িয়েছে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা। চলতি মৌসুমে কৃষকের গোলায় উঠছে প্রায় ১ লাখ ৯৪ হাজার ৩৭০ মে.টন ধান।

জানা গেছে, মৌসুমের শুরুতে অতিবৃষ্টিতে বিপাকে পড়তে হয়েছে কৃষকদের। একাধিকবার আমনের বীজতলা ডুবে গেছে।

পচে নষ্ট হয়ে গেছে ধানের চারা। বেশির ভাগ কৃষক অন্যত্র থেকে চারা সংগ্রহ করে ধান চাষ করেছেন। পরবর্তীতে পোকা কিংবা অন্য কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখে পড়তে হয়নি কৃষকদের। এখন কৃষকরা ধান কেটে গোলা ভরছেন।

কৃষকরা জানান, গত রবি মৌসুমে আগাম বর্ষার কারণে বাদাম, সয়াবিন, মরিচ, তরমুজসহ ক্ষেতের সকল ফসল পানির নিচে তলিয়ে সর্বনাশ হয়েছে। আমন রোপনের প্রস্তুতিতেই অতিবৃষ্টিতে বীজ তলার চারা নষ্ট হয়ে যায়। কিছু উঁচু জমির চারা ও জেলার বাইরে থেকে সংগ্রহ করা চারা দিয়ে আবাদ করা হয়েছে। এতে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে। কৃষকরা এখন ধানের ন্যায্য মূল্যের প্রত্যাশা করছেন।

লক্ষ্মীপুরে ধানের বাম্পার ফলন।  ছবি: বাংলানিউজলক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে জেলার ৫ উপজেলায় হাইব্রিড, উফশী ও স্থানীয় জাতের ধানের আবাদ হয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ২১ হাজার ৯২৫ হেক্টর, রায়পুরে ৭ হাজার ৮৯৫, রামগঞ্জে ২ হাজার ৮০৫, রামগতি ২১ হাজার ৫২৫ ও কমলনগরে ১৯ হাজার ৭ হেক্টর জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। মোট ৭৩ হাজার ১৫৭ হেক্টরের মধ্যে হাইব্রিড ৫৩৫ হেক্টর, উফশী ৫৭ হাজার ৬২২ ও স্থানীয় জাতের ধান চাষ হয়েছে ১৫ হাজার হেক্টরে।
 
এসব জমি থেকে কৃষকের গোলায় উঠছে ১ হাজার ৫১৭ মে. টন হাইব্রিড, ১ লাখ ৮৪ হাজার ৮৩৭ মে.টন উফশী ও ৮ হাজার ১৬ মে.টন স্থানীয় জাতের ধান। এ মৌসুমে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ৪৩৩ মে.টন। অর্জিত হচ্ছে প্রায় ২ লাখ মে.টন।

লক্ষ্মীপুরে ধানের বাম্পার ফলন।  ছবি: বাংলানিউজকলনগরের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা রফিক উল্লাহ মুরাদ বলেন, গত কয়েক বছর থেকে স্থানীয় জাতের ধানের আবাদ কমে উফশী জাতের আবাদ বেড়েছে। বেশি ফলন হওয়ায় কৃষকদের হাইব্রিড ও উফশীতে আগ্রহ।

কমলনগর উপজেলা চর মার্টিন গ্রামের কৃষক দ্বীন মোহাম্মদ বলেন, উৎপাদন খরচ বেড়েছে। তবে বাড়ছে না কৃষকদের উৎপাদিত ধানের দাম। এভাবে চলতে থাকলে কৃষিতে আগ্রহ হারাবে কৃষকরা।

লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. বেলাল হোসেন খাঁন বলেন, ইউনিয়ন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের পাশে আছেন। প্রয়োজনীয় পরামর্শ নিয়ে আবাদ করায় কৃষকরা কাঙ্খিত ফসল পাচ্ছেন। উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে; আশার করছি কৃষকদের প্রত্যাশা পূরণ হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৭
জেডএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।