ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

কৃষি

লক্ষ্মীপুরে ২০০ কোটি টাকার শাক-সবজি উৎপাদন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯
লক্ষ্মীপুরে ২০০ কোটি টাকার শাক-সবজি উৎপাদন

লক্ষ্মীপুর: চলতি শীত মৌসুমে লক্ষ্মীপুরে ৪ হাজার ৬৮৫ হেক্টর জমিতে শীতকালীন শাক-সবজির আবাদ হয়েছে। এতে উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন শাক-সবজি। যার বাজার মূল্য ২০০ কোটি টাকারও বেশি। 

ফসল উৎপাদনে উপযোগী মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার শাক-সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষকও পেয়েছে কাঙ্খিত মূল্য।

চাঙ্গা হয়েছে গ্রামীণ অর্থনীতি।

গত বছর লক্ষ্মীপুরে শীত মৌসুমে অসময়ে বৃষ্টি হওয়ায় শাক-সবজিসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এবার গত বছরের ক্ষতি কাটিয়ে লাভের মুখে দেখেছেন কৃষকেরা। হাসি ফুটেছে তাদের মুখে।

লক্ষ্মীপুর কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, লক্ষ্মীপুরের পাঁচটি উপজেলায় এবার ব্যাপকহারে শাক-সবজির আবাদ হয়েছে। লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ১ হাজার ৩০০ হেক্টর, রায়পুরে ১ হাজার ৭৫ হেক্টর, রামগঞ্জে ৮০০ হেক্টর, রামগতিতে ১ হাজার ২০০ হেক্টর ও কমলনগরে ৩১০ হেক্টর জমিতে মূলা, লালশাক পালংশাক বেগুন টমেটো, ফুলকপি, বাঁধাকপি গাজর লাউ বরবটি, ওলকপি, মিষ্টিকুমড়া, করলা, শিম, ঢেঁড়স, শসা ও ধুন্দলের আবাদ হয়। এতে উৎপাদন হয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার ৫০০ মেট্রিক টন। যার গড় মূল্য প্রায় ২১২ কোটি টাকা।

উৎপাদিত ধানের চেয়ে শাক-সবজির দাম বেশি, লাভও বেশি। যে কারণে লক্ষ্মীপুরের কৃষকরা শাক-সবিজ আবাদে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। প্রতিবছরই বাড়ছে সবজি আবাদ।  

লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার আবিরনগর, টুমচর, শাকচর, মিয়ারবেড়ি, চর উভূতি ভবানীগঞ্জ, তেওয়ারিগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় সারাবছর ধরে শাক-সবজির চাষ হয়। তবে শীত মৌসুমে আবাদ হয় ব্যাপক হারে। জেলার সবচেয়ে বড় সবজির হাট পিয়ারাপুর। সপ্তাহে চারদিন হাট বসে ওই বাজারে। স্থানীয় কৃষকরা সরাসরি হাটে তোলে কৃষিপণ্য। পাইকারি দরে বিক্রি করেন তারা। দেশের বিভিন্নস্থান থেকে আসা ব্যবসায়ীরা এসব শাক-সবজি ট্রাক-পিকআপ ভরে ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে বিক্রি করেন।

স্থানীয় সবজি চাষিরা বাংলানিউজকে জানান, ধানের ন্যায্য মূল্য পাওয়া যায় না। যে কারণে কৃষকরা সবজি চাষে ঝুঁকছেন। সফলও হয়েছেন। তবে লক্ষ্মীপুরে কাঁচামাল সংরক্ষণের জন্য সরকারি-বেসরকারি কোনো হিমাগার নেই। এজন্য বিপাকে পড়তে হয় তাদের। ফসল কাটার পরপরই বিক্রি করতে হয়। যে কারণে তারা সারাবছর সংরক্ষণ করে শাক-সবজি বিক্রি করতে পারেন না। হিমাগার থাকলে তারা আরও বেশি সুফল পেতেন। বাড়ত আয়ও।

এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. বেলাল হোসেন খান বাংলানিউজকে বলেন, চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় শাক-সবজির ভালো ফলন হয়েছে। বেশি ফসল উৎপাদনে কৃষকদের নানাভাবে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রত্যেক ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকের কল্যাণে কাজ করছেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৬২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০১৯
এসআর/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।