বোরো ধান-চাল সংগ্রহ কর্মসূচির আওতায় সরকার এর আগে ২৬ টাকা দরে দেড় লাখ টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত নেয়। আগামী আগস্ট মাস পর্যন্ত চলবে এ কর্মসূচি।
মঙ্গলবার (১১ জুন) খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার ও খাদ্য সচিব শাহাবুদ্দিন আহমদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সোমবার (১০ জুন) প্রধানমন্ত্রী দিক-র্নিদেশনা দিয়েছেন। আমরা কৃষকদের কাছ থেকে আরও আড়াই লাখ মেট্রিক টন ধান কেনবো। এতে ধানের দাম না বাড়লে, আরও দুই থেকে আড়াই লাখ মেট্রিক টন কেনা হবে। যাতে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য পায়। এবার বোরোর ফলন অনেক উদ্বৃত্ত হয়েছে। দেশে গুদামগুলোর ধারণ ক্ষমতা ১৯ লাখ ৬০ হাজার টন, এর মধ্যে ১৪ লাখ টন খাদ্য শস্য গুদামে আছে।
তিনি আরও জানান, এখন পর্যন্ত কৃষকদের কাছ থেকে ৩০ হাজার টন বোরো ধান
কেনা হয়েছে। এক লাখ ২০ হাজার টন ধান কেনা চলমান রয়েছে। এবার প্রান্তিক কৃষকের কাছ থেকে সর্বোনিম্ন ৩ মণ ও সর্বোচ্চ একটন ধান কেনা হবে। এ নিয়মের ব্যত্যয় ঘটলে বা এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ এলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মিল গেট থেকে চাল কেনা হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, তারা (মিল মালিক) ভালো চাল দেন না। এ কারণে সরকার তাদের কাছে (১৯৮৯ সাল) ৩০০ কোটি টাকা পায়। তা নিয়ে মামলা চলছে। তারা টাকা নিয়ে চাল দেন না। এজন্য এবার তাদের কাছ থেকে চাল কেনা হবে না।
তিনি বলেন, আগামীতে উদ্ধৃত্ত হলে রফতানি করা হবে। আমাদের টাকা থাকলেও এর থেকে বেশি কিনতে পারবো না। কারণ আমাদের গুদামের ধারণ ক্ষমতা নেই। আমরা এবার কোনো সিন্ডিকেট থেকে চাল কিনবো না।
কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, সরকার চলতি বছর ১০ লাখ মেট্রিক টন সেদ্ধ বোরো চাল, দেড় লাখ টন বোরো আতপ চাল এবং দেড় লাখ টন বোরো ধান এবং ৫০ হাজার মেট্রিক টন গম কেনার সিদ্ধান্ত নেয়।
গত ২৫ এপ্রিল থেকে সরকারিভাবে ধান, চাল ও গম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। এছাড়া বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছে, আন্তর্জাতিক বাজারে সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ দামে তারা নিতে আগ্রহী।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কৃষকদের সরাসরি নগদ আর্থিক সহায়তা দেওয়াটা কঠিন। সবচেয়ে সহজ হয় সার আমদানিতে প্রণোদনা দিলে সবাই সমান সুবিধা পাবে। এছাড়া প্রকৃতির ওপর আমাদের নিয়ন্ত্রণ নেই। তবে আমরা বর্তমানে যে অবস্থানে আছি দেশে কোনো দুর্যোগ হলে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, মিয়ানমার, ভিয়েতনাম থেকে চাল কিনতে পারবো, আমাদের সে সক্ষমতা রয়েছে। এজন্য আমরা চাইলেই বর্তমানে ১০ থেকে ১২ লাখ মেট্রিক টন চাল রফতানি করতে পারি, তাকে কোনো সমস্যা হবে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০০ ঘণ্টা, জুন ১১, ২০১৯/আপডেট: ১৭৫০ ঘণ্টা
জিসিজি/ওএইচ/