শুক্রবার (২৭ জুন) বিকেল ৩টায় ফার্মগেটের কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক মেলার উদ্বোধন করবেন। শুক্রবার থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই মেলা চলবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ‘জাতীয় বীজ মেলা-২০১৯’ উপলক্ষে প্রেস ব্রিফিং এ কথা জানান কৃষিমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বীজ অনুবিভাগের মহাপরিচালক আশরাফ উদ্দীন আহমেদ।
আশরাফ উদ্দীন আহমেদ বলেন, ভালো বীজ ব্যবহার করলে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ উৎপাদন বাড়বে। কিন্তু আমাদের দেশের চাষিরা নিজ নিজ ফসলের অপেক্ষাকৃত ভালো অংশ পরবর্তী ফসলের বীজ হিসেবে ব্যবহার করে। একই বীজ থেকে বার বার চাষ করলে ফসলের ফলন অনেক হ্রাস পায়। তাই ২ থেকে ৩ বছর পর পর বীজ পরিবর্তন খুবই জরুরি ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকারের বীজ আইন অনুসারে প্যাকেট করা বীজের মানের নিশ্চিয়তা বীজ বপন হতে শুরু করে বীজ প্যাকেট করা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে জাতীয় বীজ বোর্ডের অনুমোদিত বীজের মাঠমান ও বীজমান নিশ্চিত করেই প্রত্যায়ন দেওয়া হয়ে থাকে।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে ২৬ শতাংশ ভালো মানের বীজ চাষি পর্যায়ে সরবরাহ করা হয়। ধান ও গমের ক্ষেত্রে ভালো বীজের সরবরাহের হার যথাক্রমে ৫৩ দশমিক ৭২ শতাংশ ও ৬০ দশমিক ৭৮ শতাংশ। সরকারের প্রচেষ্টায় গত ১০ বছরে ধান, গম, পাট, ভুট্টা, আলু, সবজি, তেল ও মসলাসহ বিভিন্ন ফসলের গুণগত ভালো বীজ সরবরাহ দেড়গুণেরও বেশি বেড়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, বীজ মেলা উপলক্ষে সব সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাষি পর্যায়ে সরবরাহ করা প্রতিটি বীজ যাতে গুণগত মানসম্পন্ন হয় এবং বীজের দাম সাধারণ চাষিদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে থাকে সে বিষয়ে সর্তক দৃষ্টি রাখার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আহ্বান জানানো হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৮ ঘণ্টা, জুন ২৭, ২০১৯
জিসিজি/এএটি