কৃষি বিভাগের কাছে আম্রপালি বারি আম-৩ নামে পরিচিত। পাহাড় ছাড়িয়ে এ আমের খ্যাতি এখন দেশজুড়ে।
তবে, আমে ক্ষতিকর রাসায়নিক মেশানোর খবরে দেশব্যাপী আতঙ্ক থাকলেও খাগড়াছড়ির আমের রয়েছে সুখ্যাতি। এ বিষয়ে সতর্ক খাগড়াছড়ির আম বাগানীরা। এদিকে আম বাগানে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হওয়ায় পাহাড়ের বহু বেকার নারী-পুরুষের মনে আনন্দ।
খাগড়াছড়ির সাতভাইয়া পাড়া এলাকার বাসিন্দা সুইনুপ্রু মারমা, অংগ মারমা বলেন, আগে কাজের অভাবে বেকার থাকলেও এখন আমাদের এলাকায় অনেকের আম বাগান আছে। সারা বছর আম বাগানের পরিচর্যায় কাজ করি। আমের মৌসুমে যখন বেশি লোক লাগে তখন ঘরের অন্য সদস্যরাও কাজ করে। এতে সংসার ভালোই চলছে। আমচাষি বিপীন চাকমা, অনিমেষ দেওয়ান ও আব্দুল কাদের বলেন, দেশের বাইরে এখানকার বিষমুক্ত আমের ব্যাপক চাহিদা থাকায় ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় পাহাড়ে এবার আমও ভালো হয়েছে।
কৃষি বিভাগ বলছে, এবার খাগড়াছড়িতে ৩ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। গত কয়েক বছর ধরে জেলার পাহাড়ি উঁচু জমিতে উন্নত জাতের আম্রপালির পাশাপাশি রাংগুয়া, বারি-৪, হীমসাগর, রত্না, মল্লিকা, গোপালভোগসহ বিভিন্ন জাতের আমের চাষ হচ্ছে। এদিকে গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় ২২০ হেক্টর বেশি জমিতে আম চাষ হয়েছে। গত বছর হেক্টর প্রতি আট মেট্রিক টন আম উৎপাদন হয়েছে। এবার প্রায় ৮০ কোটি টাকার আম বেচাকেনা হতে পারে বলেও জানায় কৃষি বিভাগ।
খাগড়াছড়ির কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো. মর্তূজ আলী বাংলানিউজকে বলেন, পাহাড়ের মাটি ও আবহাওয়া আমচাষের অনুকূলে থাকায় দিনে দিনে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে আম্রপালিসহ বিভিন্ন জাতের আম। মাটির উর্বরতার কারণে দেশের যেকোনো প্রান্তের আম এখানে চাষ করা সম্ভব বলেও জানান তিনি।
পাহাড়ে বাজার ব্যবস্থাপনার সুযোগ থাকলে এ খাতে আরো বেশি লাভবান হওয়ার পাশাপাশি আমচাষির সংখ্যাও বাড়তো বলে মনে করেন স্থানীয়রা।
বাংলাদেশ সময়: ০০৪৫ ঘণ্টা, জুন ৩০, ২০১৯
এডি/আরআইএস/