গল্প
সভ্য সমাজের মানুষ যতো কর্মকাণ্ডেই বিস্তৃত হয়ে উঠুক না কেন দিনের চার ভাগ, কিংবা তার বেশি বারও সে এক নিদারুণ রসনা তৃপ্তির কাজে নিমগ্ন
হ্যাঁ, কয়েকটা জাতীয় দৈনিকে গুরুত্বহীনভাবেই ছাপা হয়েছিল সংবাদটা। দুইয়ের পৃষ্ঠার আটের কলামে ছোট্ট একটা সংবাদ: ‘লোহাগাড়া থানার
অফিসে সহকর্মীরা সবাই তাকে সম্মান করে। সেটা অবশ্য পদমর্যাদা বা ক্ষমতার জোরে না। তার অগাধ সততাকে মনে মনে সবাই সম্মান করে। সুযোগের
গ্রিক মাইথোলজির নার্সিসাসের গল্প আমরা সবাই জানি, সবাইকে প্রত্যাখ্যান করে আত্মমুগ্ধ হওয়ার ফল ক্ষয়। সেখানেও বিষয়টি ছিলো ছবি,
এক কামরা দুই কামরার ঘরগুলাতে বৌ-বাচ্চা নিয়ে অনেকে থাকে। বেশিরভাগ ঘরের সাথে লাগানো টয়লেট নাই। পাঁচ সাত পরিবারের জন্য একটা পায়খানা আর
নিজের অজান্তেই সে অতি সন্তর্পণে পা ফেলে শেষ ধাপটি অতিক্রম করে। তার মনে হয় এই মাত্র হরলিক্সের বৈয়ামটি বাজারের থলে ছিঁড়ে পড়ে গুঁড়ো
ঠিকই তো। বিয়ের পর থেকেই হাসিবের কাজের চাপ প্রজ্ঞার প্রাত্যহিক জীবনকে বর্ণহীন করে দিয়েছে। ছোট্ট নিয়ন্তার বাবার জন্য সে কী
ছি ছি কী সর্বনাশ! রিকশার ছাত বেয়ে তার কিছুটা মহিলা দুটির মাথায়! ভাগ্যিস, আমি একটু দূরত্বে ছিলাম। আরও বলে কি-না গরম লাগে। গরম! আরে
রাথিন বাসায় এসেও ব্যস্ত হয়ে পড়ে অফিসের কাজে। যে সময়টা একদিন মুমুর জন্য বরাদ্দ ছিলো। ভালোবাসাময় দুর্দান্ত মুহূর্তগুলো কতোই না রঙিন
আস্তে আস্তে চোখ খুলল শাহানা। ছোট্ট আঁতুড়ঘরে তার পাশে শুধু ধাই। শ্বশুর কিংবা শাশুড়ি কেউই নেই। তারা কি আর আসেনইনি?শাহানাকে চোখ খুলতে
তারপর কবি-কলিগ বলেন, “আরে ভাই! কবিতা তো পড়েন না, জানবেন কেমনে! এটা ইমতিয়াজ মাহমুদের বিখ্যাত কবিতা ‘যদি’ যেখানে এসব ঘটে। আর হারুন
চলছে নয়, বরং মাঝে মাঝে একটু আধটু নড়ছে। রাস্তায় এভাবে বসে থাকা। সকালে অফিসে যেতে এই পথটা প্রতিদিন আমি পাড়ি দেই। মিনিট বিশেকের পথ অথচ
কাঠবিড়ালি হতো যদি সে! তাহলেও উঠে যেতে পারত গাছের ওই মগডালে। পারলে আর শুনতে হতো না ভাইদের ওই কটাক্ষÑ কাঠবিড়ালি কাঠবিড়ালি পেয়ারা
দশ বর্ষা আগেও ওই প্রকাণ্ড বটগাছটার ওপারে ছিলো বহেরাতলা মহাশ্মশান। পাকা থানের চারিপাশে চোখ আটকানো জঙ্গল। সরু পায়ে হাঁটা প্রবেশ
সারাদিন ওকে মাতাল করে রাখবে, যেনো আহ্লাদের কথা বলতে ছেলেটাকে হিসাব কষতে না হয়, যেনো এমনভাবে ভালোবাসার কথা বলা শুরু করে যাতে মেয়েটাই
প্রচণ্ড শরীরে সমস্ত সূর্য মেখে তার উপর নদীর জল ঢেলে, নিজের কাছে নিজেকে ছেড়ে লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া ছাড়া। মাথায় তখনও বারোয়ারি
কেননা এখন যে কাঁথাটি সে সেলাই করছে, এটা তার নতুন নেওয়া কাজ। কায়ছেদ চেয়ারম্যানের বউ বাপেরবাড়ি বেড়াতে গিয়ে কার যেনো একটি নতুন ডিজাইন
শামসুদ্দিন তবু এইখানে, ঝোপজঙ্গলের মধ্যে একটা বয়সী আম গাছের শরীর স্পর্শ করে ঠায় দাঁড়িয়ে পড়েন। মাইল পেরনো মধ্যবয়সী লোকটির এই প্রথম
তবে আজ লাগছে, অপ্রকাশযোগ্য বিরক্তি লাগছে। যেনো মানুষখেকো লতানো গাছের মতো শাড়িটা শরীরে জড়িয়ে গলা অব্দি উঠে এসেছে। নিজের প্রতি নিজের
এসবই আবার একটি সময় প্রবাহের গল্প। একেক সময়ের গল্প একেক রকম। অনেকটা বহতা নদীর মতো। গল্পকাররা সেই নদীতে নামেন, জল নিয়ে খেলেন, প্রাণভরে
পুরোনো সংবাদ গুলো দেখতে এখানে ক্লিক করুন