ঢাকা: বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অধীনে থাকা আখ চাষিরা এখন সময়মতো নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টেই আখের মূল্য পেয়ে যাচ্ছেন। ঘরে বসেই সঠিক সময়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে নিজের বিকাশ অ্যাকাউন্টে পেমেন্ট পাওয়ার সুবিধা কৃষকদের মধ্যে আখ চাষের আগ্রহ আরও বাড়িয়েছে, যার প্রভাব লক্ষ্য করা গেছে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের আখ সংগ্রহে।
সময়মতো আখ বিক্রির টাকা না পাওয়াসহ নানা ঝামেলার কারণে আখ চাষে আগ্রহ হারাচ্ছিলেন কৃষকরা। এমন পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে চাষিদের আখ বিক্রয়ের পেমেন্ট সরাসরি তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দিতে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে বিকাশ। এতে কৃষকরা এক দিকে যেমন সময়মতো আখের ন্যায্যমূল্য পেয়েছেন, তেমনি সময় সাশ্রয় হওয়ায় আখ চাষের পাশাপাশি তারা সবজিসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনেও মনোনিবেশ করতে পেরেছেন। চিনিকল কর্তৃপক্ষের মতেও বিকাশের মাধ্যমে দ্রুত পেমেন্ট পাওয়া এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা আখ চাষে কৃষকদের আগ্রহ বাড়িয়েছে। ফল স্বরূপ ২০২৪-২৫ অর্থবছরে আখ চাষিদের বিকাশের মাধ্যমে গত বছরের তুলনায় আরও ২৬ শতাংশ বেশি পেমেন্ট করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত অর্থবছরে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের অধীনে থাকা চাষিদের কাছ থেকে আখ সংগ্রহের পর তাদের পেমেন্ট দ্রুত পৌঁছে যায় বিকাশে। ফলে চাষিরা উৎপাদিত আখের যথাযথ মূল্য পেয়ে যান তাদের হাতের মুঠোয় থাকা বিকাশ অ্যাকাউন্টে এবং কোনো চার্জ ছাড়াই তা ক্যাশ আউট করেছেন নিকটস্থ এজেন্ট পয়েন্ট থেকে। পাশাপাশি কৃষকদের ডিজিটাল পেমেন্ট গ্রহণ ও ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনে সচেতনতা বাড়াতে বিভিন্ন সময় প্রশিক্ষণ ও সেমিনারের আয়োজনও করে বিকাশ। এতে সার্বিক আখ সংগ্রহ এবং তার মূল্য পরিশোধে দ্রুততা, স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় এবং চাষিদের সঙ্গে চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২৫
আরবি