ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

‘প্রথম’ সংবাদ সম্মেলনে যা বলে গেলেন হাথুরু

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, স্পোর্টস | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮১৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
‘প্রথম’ সংবাদ সম্মেলনে যা বলে গেলেন হাথুরু সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে/ছবি: শোয়েব মিথুন

চন্ডিকা হাথুরুসিংহের আসার ব্যাপারে যেমন, আগ্রহ ছিল তার প্রথম সংবাদ সম্মেলন নিয়েও। প্রায় মিনিট বিশেক ধরে হাথুরু জানিয়েছেন, বাংলাদেশে তার ফিরে আসার কারণ ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা; দিয়েছেন অতীতে বলা তার কথার ব্যাখ্যা।

‘হোম অ্যাডভান্টেজ’ নিয়ে প্রশ্নে তাকে দেখা গেছে রেগে যেতেও। বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য হাথুরুর পুরো সংবাদ সম্মেলন তুলে ধরা হলো...

প্রশ্ন: আপনি আবারও ফিরে এলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে। বোর্ডের কর্মকর্তাদের সঙ্গে কী নিয়ে আলাপ হলো? এই সিদ্ধান্তের পেছনের কারণটা কী?

হাথুরু: আমি বাংলাদেশ ক্রিকেটকে চলে যাওয়ার পর থেকেই অনুসরণ করছি। সময়ে সময়ে খেলোয়াড় ও কমকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল। বিভিন্ন সময়ে, বিভিন্ন পরিস্থিতিতে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য আমার সবসময়ই সফট কর্ণার ছিল। কারণ এটা আমার প্রথম আন্তর্জাতিক অ্যাসাইনমেন্ট। মাথায় ফিরে আসার কথা সবসময়ই কাজ করতো। যদিও ভাবিনি এত তাড়াতাড়ি ফিরে আসবো। কিন্তু আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সময় যখন সভাপতি ও কিছু কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা হলো, কিছু ব্যাপারে কথা হয়েছে। এরপর আমার মনে হয়েছে এটাই সঠিক সময় ফিরে আসার। এরপর ২০২৩ বিশ্বকাপ আসছে। আমি ভাবলাম যদি নিউ সাউথ ওয়েলস মৌসুম শেষ করে যাই, তাহলে কিছুটা দেরি হয়ে যায়। আমার মনে হয়েছে এটাই সঠিক সময় ফিরে আসার।

প্রশ্ন: এবারই কি প্রথম বিসিবি আপনাকে অফার দিলো?

হাথুরু: নাহ।

প্রশ্ন: দ্বিতীয়?

হাথুরু: না।

প্রশ্ন: আপনি যখন চলে গিয়েছিলেন। তখন বিসিবি সভাপতি জানিয়েছিলেন, আপনি ভেবেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে দেওয়ার আর কিছু নেই। এখন আবার ফিরে আসতে কোন ব্যাপারটা অনুপ্রাণিত করলো?

হাথুরু: আমার দৃষ্টিকোণ থেকে উত্তর দিচ্ছি। আমার মনে হয় এটা ক্রান্তিকালীন সময়। সামনের দুই-তিন বছর এগিয়ে যেতে চাই। সিনিয়ররা বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য অনেক কিছু করেছে। তারা সম্ভবত বাংলাদেশের কিংবদন্তি খেলোয়াড়। বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা প্রজন্ম হিসেবে মনে থাকবে। পাশাপাশি কিছু দারুণ তরুণ ক্রিকেটার উঠে আসছে। এই ধরনের প্রতিভার সঙ্গে কাজ কো আমাকে সবসময়ই মোটিভেট করে।

প্রশ্ন: বিসিবির প্রত্যাশা, আপনি বিশ্বকাপে ভালো কিছু করে দেবেন। এটা কি চাপও?

হাথুরু: কোচরা সবসময়ই চাপে থাকে। দল ভালো ফলাফল করলে, কোচ ঠিক আছে। না করলে তারা প্রশ্ন তুলে। আমাদের সবারই প্রত্যাশা আছে পুরো দেশ হিসেবে। কারণ পরের বিশ্বকাপ ভারতে হবে, তাই পুরো দেশের চোখ থাকবে এদিকে। এই ফরম্যাটে ভালো করছে, এখানে আশা বেশি থাকবে। এর সঙ্গে আমরা শুধুমাত্র আমাদের প্রস্তুতিকেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, কীভাবে প্রস্তুত হচ্ছি। যেমন নিজেদের সামর্থ্যের মধ্যে কীভাবে আমরা নিজেদের প্রস্তুত করতে পারি ও সেরা খেলোয়াড়রা ফিট ও হেলদি থাকে। যদি এটা আমরা করতে পারি তাহলে অবশ্যই সেটা ভালো হবে। বিশ্বকাপেও ভালো করতে পারব।

প্রশ্ন: আপনি আসার আগেই ইংল্যান্ড সিরিজের দল দেওয়া হয়েছে। কিছু নতুন মুখ আছে, পুরোনো। আপনি কি নতুন মুখ আনবেন নাকি পুরোনোরোই থাকবে?

হাথুরু: আমি তাদের (নতুন) কাউকেই দেখিনি। আমি যেটা করব- আমি দলটাকে পর্যবেক্ষণ করব। আমরা কীভাবে খেলব, সেটা ঠিক করব। তারা শেষ কিছুদিনে বেশ ভালো খেলেছে। ভারতের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে। আমরা একই কাজ করার চেষ্টা করব। প্রক্রিয়াটা কী সেটার দেখার চেষ্টা করব। দলের নেতৃত্ব ও অন্য কোচিং স্টাফদের ওপর নির্ভর করব। তথ্য পাওয়ার ব্যাপারে প্রথম দুই ম্যাচে এভাবেই এগোবো। তারপর দেখা যাক কী হয়।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল খেলেছে ২০১৭ সালে। আপনার কি মনে হয় বাস্তবিকভাবে এর চেয়ে ভালো কিছু করার সুযোগ আছে?

হাথুরু: বড় প্রশ্ন। এইরকম কিছু শোনা যেতে পারে। ভবিষ্যতে কী হবে সেটা জানি না। এটা বলতে পারি, এই পর্যায়ে আমরা সেরা চার দলের একটি না। এই অবস্থায় আমার পক্ষে এটা করবো, এমন বলা সম্ভব না। আমাদের কিছু জায়গায় উন্নতি করতে হবে, ফিট হতে হবে। স্কিলে উন্নতি করতে হবে, কম্বিনেশন ঠিকঠাক লাগবে। নিশ্চিত করতে হবে খেলোয়াড়রা যেন বিশ্বকাপের সময় সেরা ছন্দে থাকে, যথেষ্ট ফিট থাকে। দেখা যাক কী হয়।

প্রশ্ন: আপনি সিনিয়র ক্রিকেটারদের কথা বললেন, তারা ভালো প্রজন্ম হিসেবে থাকবে। এখন আসলে বাংলাদেশের ক্রিকেটে তাদের কোন ভূমিকায় দেখতে চান?

হাথুরু: ওরা ১৫-১২-১০ বছর ধরে যা করছে, আশা করি সেটাই করে যাবে। যত দিন খেলবে, দলে থাকবে। আমার মনে হয় না তাদের ভূমিকা বদলাবে খুব একটা। তারা বিশ্বমানের খেলোয়াড়, যে ভূমিকায় খেলছে সফলও হচ্ছে।

প্রশ্ন: এই চাকরি নেওয়ার সময় আপনার মাথায় আসলে কোনো নির্দিষ্ট ব্যাপার কি কাজ করেছে?

হাথুরু: যখন এই চাকরি নেওয়ার ব্যাপারে ভেবেছি, বড় পরিসরে ভেবে এসেছি। শেষবার যখন বাংলাদেশে এসেছিলাম, অনেকের সঙ্গে নিজেকেও দেখাতে হতো আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কাজ করতে পারব। জানতাম না কোথায় এসে পড়েছি। এবার জানি বাংলাদেশের ক্রিকেট কীভাবে কাজ করে, এখন আমি নিজের ব্যাপারেও জানি অনেক। এখন অনেক বেশি অভিজ্ঞও। আরেকটা ব্যাপার হচ্ছে, আমি অনেক সম্ভাবনা দেখেছি বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য দেশের কোচদের উন্নতির ব্যাপারে। সিস্টেম করতেও সহায়তা করবো। ডেভিড মুর এসেছে আমার আগে। সে আমাকে তার অভিজ্ঞতা দিয়ে সাহায্য করবে পরের প্রজন্মকে সামনে আনতে, বোর্ডকে পরামর্শ দেবো, স্থানীয় কোচদের উন্নতির ব্যাপারেও। আমার মূল লক্ষ্য অবশ্যই বাংলাদেশকে ম্যাচ জেতানো। কিন্তু একই সঙ্গে কিছু ফিরিয়ে দিতে চাই, কিছু রেখে যেতে চাই।

প্রশ্ন: আপনি কি আগের হাথুরুই থাকবেন, নাকি নতুন কাউকে দেখা যাবে?

হাথুরু: একটু বয়স বেড়েছে আরকি।

প্রশ্ন: আপনি আসার পর থেকেই কথা হচ্ছে যে সিনিয়র খেলোয়াড়দের সঙ্গে মানিয়ে নিতে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। আপনিও কি এমন ভাবেন?

হাথুরু: নাহ, একদমই না। আমি ইতোমধ্যেই সব সিনিয়রের সঙ্গে কথা বলেছি। আমার মনে হয় সবার ফোকাস একটা ব্যাপারেই, দল এক নম্বরে। সবাই চায় দল ভালো করুক। এমনকি শেষবারও কোনো খেলোয়াড়ের সঙ্গে কোনো চ্যালেঞ্জ ছিল না। আমার চ্যালেঞ্জ ছিল দলের সবার নজর দল ভালো করায় রাখা। তো আমার মনে হয় না এটা চ্যালেঞ্জ হবে।

প্রশ্ন: আপনি চলে যাওয়ার পর থেকে বাংলাদেশ ওয়ানডেতে ভালো দল হয়ে গেছে। আরও একটি বিশ্বকাপ আসছে, বাংলাদেশ এই ফরম্যাটে সেরা ছন্দে আছে। আপনি কি ২০১৫ বা ২০১৭ সালের চেয়েও ভালো কিছু আশা করছেন?
 
হাথুরু: আমার মনে হয় একই প্রশ্ন আলাদা শব্দে বলেছেন। দেখা যাক। আমি যেমন বলেছি, এটা মূলত নির্ভর করছে মূল ও সিনিয়র খেলোয়াড়দের ফিটনেস এবং তাদের ফর্মের ওপর নির্ভর করছে। এরপর, এখন পর্যন্ত আমরা কোনো ফরম্যাটেই এক নম্বর দল না। আমি বলতে পারছি না অসাধারণ কিছু করে ফেলব। তবে আমার লক্ষ্য ভালো কিছু করা। সুবিধা হলো (বিশ্বকাপে) আমরা উপমহাদেশে খেলবো।

প্রশ্ন: বাংলাদেশের দায়িত্ব ছেড়ে আপনি শ্রীলঙ্কার হেড কোচ হয়েছেন। এরপর তাদের সঙ্গে একটা প্রতিদ্বন্দ্বীতা তৈরি হয়েছে। কিছু ঘটনাও ঘটেছে। আপনার কি মনে হয় এসব ক্রিকেটারদের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সমস্যা করবে?

হাথুরু: আসলে না। আমি ওটা উপভোগ করেছি। কারণ আমি বাংলাদেশের কোচ থাকতে একটা জিনিস খেলোয়াড়দের ভেতর ঢুকিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছি- যেকোনো প্রতিপক্ষের সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারা ও অনেক প্যাশন নিয়ে খেলা। তারা যখন এটা দেখিয়েছে, আমি উপভোগ করেছি। আমি অন্য ড্রেসিংরুমে থেকেও গর্ব বোধ করেছি তারা যেভাবে নিদাহাস ও এশিয়া কাপে খেলেছে। আপনার প্রথম প্রশ্ন বোকার মতো ছিল। আমার সঙ্গে কোনো ক্রিকেটারেরই সমস্যা নেই। আমি আসলে কোচ হিসেবে তাদের নিয়ে গর্বিত ছিলাম।

প্রশ্ন: আপনি যখন শেষবার এসেছিলেন, তাসকিন স্পিডস্টার ছিল। এখন অনেকেই এসেছে- এবাদত ও তাসকিন। তারা বিশ্বকাপে ভালো করতে কতটুকু বুস্ট আপ করবে?

হাথুরু: শুধু তারা দুজন না, আরও আছে। আমার খুঁজে বের করতে হবে। আমি মাত্র এসেছি। মাত্র কয়েকজনকে দেখেছি। শুনেছি, অনেক প্রতিভা আছে। দেখা যাক কী হয়।

প্রশ্ন: বাংলাদেশ ওয়ানডেতে বরবারই ভালো। বাকি দুই ফরম্যাটে বদলাতে কতটুকু সময় পারে?

হাথুরু: আমার মনে হয় টেস্ট ক্রিকেটে ভালো করছে। এমনকি নিউজিল্যান্ডে তারা এক ম্যাচ জিতেছে। ঘরের মাঠেও টেস্টে ভালো করছে। আমার মনে হয় টেস্ট ক্রিকেট অনেক প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অবশ্যই খুঁজে বের করতে হবে কীভাবে খেলব। যারা ভালো খেলছে তাদের অনুসরণ না করে... সেটা না। আমাদের নিজেদের শক্তির জায়গা দরকার, আমাদের নিজেদের শক্তি আছে। সেটা খুঁজে বের করতে হবে। কোন পরিকল্পনা আমাদের সঙ্গে যায় সেটাও দেখতে হবে। এই চ্যালেঞ্জ নিয়ে দলের সঙ্গে কাজ করার দিকে আমি তাকিয়ে আছি।

বাংলাদেশ ক্রিকেটে ইতিহাস যদি দেখেন, আমার মনে আছে ৯০-র দশকে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ ৫০ ওভারের ছিল। এমনকি ৭০ এর দশকেও- শুনেছি তারা ৫০ ওভারের ক্রিকেট খেলেছে। তারা কখনোই চারদিনের ক্রিকেট খেলেনি। আমরা জাতি হিসেবে জানি, কীভাবে ৫০ ওভারের ক্রিকেট খেলতে হয়। অনেক দেরিতে হলেও পেসাররা উঠে আসছে। সিস্টেম আগের চেয়ে ভালো, বিভিন্ন ধরনের ক্রিকেটাররা উঠে আসছে। আমার মনে আছে, আগে স্পিনাররা সেরা পারফর্মার ছিল, এখন সবাই পেসারদের নিয়ে কথা বলছে। নতুন প্রতিভা দেখার জন্য মুখিয়ে আছি। এরপর বাকি দুই ফরম্যাটে দ্রুতই ভালো করা শুরু করব আশা করি।

প্রশ্ন: এ নিয়ে কি ডেভিড মুর (হেড অব প্রোগ্রামস) সঙ্গে বিশেষ কোনো পরিকল্পনা নিয়ে কথা হয়েছে?

হাথুরু: এখনও না। সম্ভবত সে এখনও সিস্টেম নিয়ে পড়াশোনা করছে। সে মনে হয় দুই সপ্তাহ হলো এই কাজে যোগ দিয়েছে, আমি মাত্র দুই দিন হলো। সম্ভবত ইংল্যান্ড সিরিজের মাঝখানে বা এরপর তার সঙ্গে কথা হবে। এরপরেই হয়তো বোর্ডকে কিছু পরামর্শ দেবো।

প্রশ্ন: আপনার কি মনে হয় ওয়ানডেতে মাশরাফিকে ফেরানো যেতে পারে?

হাথুরু: নির্বাচনের জন্য? আমার মনে হয় সে এখন খেলে না।

প্রশ্ন: আপনি আগেরবার যাওয়ার আগে বলে গিয়েছিলেন, সাকিব আল হাসান দল ও দেশের প্রতি যথেষ্ট দায়বদ্ধ না। তিনি এখন টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক। এমন একজনের সঙ্গে কাজ করা কতটা কঠিন হবে?

হাথুরু: এটা তো আমার কাছে একেবারেই নতুন (খবর)। আমি এমন কিছু শুনিনি, এভাবে অনুভবও করিনি।

প্রশ্ন: আপনার প্রথম মেয়াদে বিশেষত টেস্টে স্পিনারদের প্রাধান্য দিয়েছেন। তবে সেটিকে অনেকেই বলেছেন স্বল্পমেয়াদী সাফল্য। এবার আপনার পরিকল্পনা কী হবে?

হাথুরু: হোয়াট ইজ হোম অ্যাডভান্টেজ? যখন আমরা নিউজিল্যান্ড যাই, কি ধরনের উইকেটে আমরা পাই? ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কি করে তাদের ঘরের মাঠে? ভারত এখন ঘরের মাঠে কি করছে? দেশের বাইরে গেলে আমাদের যা আছে তা দিয়ে ম্যানেজ করতে হবে। যদি মিসাইল না থাকে তাহলে আপনি কীভাবে লড়াই করবেন? আমাদের তো গেরিলা যুদ্ধ করতে হবে, তাই না? ওদের আমাদের ঘরে আসতে দিন, আমরা ছোট ছোট অস্ত্র দিয়ে লড়ব। যদি আমাদের অস্ত্র না থাকে তাহলে তো আমরা কিছু করতে পারব না। আমরা শুধু খেলোয়াড়দের গড়ে তুলতে পারি। আপনি এটা বলতে পারেন না। দক্ষিণ আফ্রিকায় ওরা ভালো করেছে। নিউজিল্যান্ডে ওরা ভালো করেছে। আমরা একটু আগে আলোচনা করলাম পেস বোলারদের নিয়ে, যারা উঠে আসছে। এবাদতের কথা মনে আছে। আমার প্রথম নিউজিল্যান্ড সফরে সে ছিল ডেভলপম্যান্ট প্লেয়ার। শান্তও। এখন ওরাই ভালো করছে। সুতরাং এটা করতে সময় লাগে। সব দেশই তাই করে। আমাদের ঘরের মাঠের সুবিধা নিতে হবে। আমাদের নিজেদের শক্তি অনুযায়ী খেলতে হবে।

বাংলাদেশ সময় ১৮১৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
এমএইচবি/এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।