ঢাকা, রবিবার, ১ পৌষ ১৪৩১, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

মাসুদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরলেন মুমিনুল

স্পোর্টস ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৩৪ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
মাসুদের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরলেন মুমিনুল ছবি: শোয়েব মিথুন

মাহমুদুল হাসান জয় বিদায় নেওয়ার পর ক্রিজে নেমেছিলেন মুমিনুল হক। শুরুটা নড়বড়ে হলে ধীরে ধীরে হাত খোলার চেষ্টা করেন তিনি।

হাঁকান ১টি ছক্কা ও চার। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি এই বাঁহাতি ব্যাটার।  

আফগান পেসার নিজাত মাসুদের বলটি লেগ স্ট্যাম্পের বাইরে বাউন্স করে বেরিয়ে যাচ্ছিল। মুমিনুল ছেড়ে দিতে চাইলেও শেষ মুহূর্তে বল তার ব্যাটে আলতো টোকা দিয়ে উইকেটকিপার আফসার জাজাইয়ের গ্লাভসে জমা হয়। আফগানরা আবেদন করলেও সাড়া দেননি আম্পায়ার।  

কিন্তু রিভিও নেন আফগান অধিনায়ক হাসমতুল্লাহ শহীদি। রিপ্লে দেখে আউট দেন আম্পায়ার। ফলে ২৫ বলে ১৫ রান করে বিদায় নেন মুমিনুল। এর আগে বাংলাদেশি ওপেনার জাকির হাসানকে আউট করে ক্যারিয়ারের প্রথম টেস্ট উইকেট তুলে নেন অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা মাসুদ।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫৪ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে প্রথম ইনিংসে ২৫৮ রান করেছে বাংলাদেশ।  

বুধবার (১৪ জুন) শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একমাত্র টেস্টে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান। প্রথম দিনের চা বিরতি অবধি দুই উইকেট হারিয়ে ২৩৫ রান করেছে স্বাগতিকরা। নাজমুল হোসেন শান্ত ১৫১ বলে ১২৬ ও মুমিনুল হক অপরাজিত আছেন ১৪ বলে ১১ রানে।  

২০১৯ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে হেরেছিল বাংলাদেশ। তখন স্পিন উইকেট বানানোর সেই ভুল থেকে শিখে এবার বানিয়েছে ঘাসের উইকেট। সকালে দেশের ১২তম টেস্ট অধিনায়ক লিটন দাস টস হারলে ফিল্ডিং নিয়ে শুরুতে উইকেটের সুবিধা কাজে লাগায় আফগানিস্তান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই তারা পায় উইকেটের দেখা।  

টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই উইকেটের দেখা পান পেসার নিজাতউল্লাহ মাসুদ। তার হালকা মুভ করা বল জাকিরের ব্যাটে লেগে উইকেটের পেছনে চলে যায়। শুরুতে আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউ নিয়ে সফল হয় আফগানরা। এতে একটি কীর্তিও গড়েন মাসুদ। আফগানিস্তানের প্রথম ও বিশ্বের ২২তম বোলার হিসেবে টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বলেই উইকেট নেন তিনি। ২০০২ সালে শ্রীলঙ্কার চামিলা গামাগে আউট করেছিলেন মোহাম্মদ আশরাফুলকে, সেটি ছিল বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম।

এই উইকেটের পরও বেশ কিছু বলে ব্যাটারদের ভুগিয়েছেন সফরকারী বোলররা। পেসারদের বলে বাউন্স দেখা যাচ্ছিল বেশ ভালো। কিন্তু তারা ধারাবাহিকভাবে ভালো বল করতে পারেননি। দিনের প্রথম ১৫তম ওভারে গিয়ে স্পিনার নিয়ে আসে আফগানিস্তান। তারাও খুব একটা বিপদে ফেলতে পারেননি স্বাগতিক ব্যাটারদের।

সময়ের সঙ্গে মানিয়ে নেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মাহমুদুল হাসান জয়ও। বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লাঞ্চের আগেই হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন শান্ত। বিরতি থেকে ফেরার ঘণ্টাখানেক পর এই ব্যাটার পেয়ে যান টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক। আমির হামজা হোতাকের বলে রান নিয়ে ২৩ মাস পর সাদা পোশাকে সেঞ্চুরির দেখা পান তিনি।  

১১৮ বলে সেঞ্চুরি হাঁকানো শান্তকে দারুণ সঙ্গ দিচ্ছিলেন মাহমুদুল হাসান জয়। ফিফটি তুলে নিয়ে ছুটছিলেন সেঞ্চুরির পথেও। কিন্তু তিন অঙ্ক ছোঁয়া হলো না এই ডানহাতি ওপেনারের। আফগান স্পিনার রহমত শাহর নিরীহ দর্শন বলে কাট করতে গিয়ে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন জয়, ব্যক্তিগত ৭৬ রানে। তার বিদায় ভাঙে ২১২ রানের জুটি।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, জুন ১৪, ২০২৩
এমএইচএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।