ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

ক্রিকেট

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিমের সেই সব স্মরণীয় ইনিংস

স্পোর্টস ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৬ ঘণ্টা, জুলাই ৬, ২০২৩
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে তামিমের সেই সব স্মরণীয় ইনিংস জাতীয় দলের জার্সিতে এমন উড়ন্ত তামিমকে আর দেখা যাবে না।

আরেকটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ যখন দুয়ারে কড়া নাড়ছে, ঠিক তখনই বিদায়ের বার্তা দিলেন তামিম ইকবাল। অবিশ্বাস্য, অকল্পনীয়, অভাবনীয় বললেও তা কম হবে।

বাংলাদেশ জার্সিতে আর দেখা যাবে না তামিমকে- এটাই এখন ধ্রুব সত্য।

চোখের জলে অবসরের ঘোষণা দেওয়া তামিম, বারবার মনে করিয়ে দিচ্ছিলেন অতীতের কথা। সেই সব ইনিংসের কথা। যেগুলো তাকে অমর করে রাখবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের ইতিহাসে। স্মরণীয় সেই সব ইনিংসের কিছু তুলে ধরা হলো বাংলানিউজের পাঠকদের জন্য-

২০০৭: বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে ৫১ রান

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এই ম্যাচ দিয়েই নিজের আগমনী বার্তা দিয়েছিলেন তামিম। তুলোধুনো করে ছাড়েন প্রবল প্রতাপশালী ভারতকে। খেলেন ৫৩ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় ৫১ রানের ধুন্ধুমার ইনিংস। জহির খান তেড়ে এসে তার বাউন্ডারি মারার দৃশ্য এখনো অনেকের চোখে ভাসে। সেই ইনিংসই বাংলাদেশকে জয়ের শক্তভীত এনে দেয়। ভারতকে ৫ উইকেটে হারিয়ে ওয়ানডে বিশ্বকাপে অঘটনের জন্ম দেয় টাইগাররা।

২০০৯: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৫৪ রান

চার্লস কভেন্ট্রি রেকর্ড ইনিংসে ৩১২ রানের পাহাড়সম পুঁজি দাঁড় করায় জিম্বাবুয়ে। কভেন্ট্রি একাই করেন অপরাজিত ১৯৪ রান। সেই সময় ওয়ানডেতে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের ইনিংস ছিল এটি। সেই লক্ষ্য বাংলাদেশ পেরিয়ে যায় ১৩ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখেই। তামিম করেন ১৩৮ বলে ৭ চার ও ৬ ছক্কায় ১৫৪ রান।

২০১০: ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১০৩ রান

ক্রিকেটের মক্কাখ্যাত লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নাম লেখানোর সাধনা প্রায় সব ক্রিকেটারেরই। তামিমও ব্যতিক্রম ছিলেন না। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে ১০০ বলে ১৫ চার ও ২ ছক্কায় ১০৩ রানের ইনিংস খেলে নিজের কথা রাখেন তামিম। এখনো লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নাম লেখানো একমাত্র বাংলাদেশি ব্যাটার তিনি।

২০১২: এশিয়া কাপে টানা চার ফিফটি

অফ ফর্মের কারণে এশিয়া কাপের আগ দিয়ে দল থেকে বাদ পড়েন তামিম। প্রচুর আলোচনা-সমালোচনার পর দলে ফেরানো হয় তাকে। টুর্নামেন্টে চার ফিফটি হাঁকিয়ে বাংলাদেশকে ফাইনালে তোলার পথে অনন্য ভূমিকা রাখেন এই ওপেনার। পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬৪, ভারতের বিপক্ষে ৭০, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫৯ রানের পর ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৬০ রান করেন তিনি।

২০১৫:  পাকিস্তানের বিপক্ষে ২০৬ রান

খুলনায় সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৩৩২ রানের জবাবে ৬২৮ রান করে পাকিস্তান। তাই দ্বিতীয় ইনিংসের আগে প্রবল চাপে ছিল টাইগাররা। কিন্তু সেই চাপ নিমিষেই দূর হয়ে যায় তামিম-ইমরুলের ৩১২ রানের উদ্বোধনী জুটিতে। ২১৭ বলে ১৭ চার ও ৭ ছক্কায় ২০৬ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন তামিম। টেস্টে এটাই তার প্রথম ও একমাত্র ডাবল সেঞ্চুরি।

২০১৮: এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২* রান

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওপেন করতে নেমে সুরঙ্গা লাকমালের ডেলিভারিতে আঙুলে চোট পান তামিম। সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এক-রে রিপোর্টের পর তার এশিয়া কাপ শেষ হয়ে যায় তখনই। কেননা হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরেছিলেন তিনি। কিন্তু নাটকীয়তার তখনো ঢের বাকি।  

৪৭তম ওভারে যখন বাংলাদেশের ৯ম উইকেটের পতন হয়, তখন ভাঙা আঙুল নিয়েই ব্যাটিংয়ে নামেন। তামিম। এক হাতে একটি বাউন্সারও সামাল দেন তিনি। পরে তাকে নিয়ে ৩২ রানের জুটি গড়েন মুশফিকুর রহিম। তার ১৪৪ রানের ইনিংসে ভর করে শ্রীলঙ্কাকে ১৩৭ রানে হারায় বাংলাদেশ। দিনশেষে মূল্যবান হয়ে উঠে তামিমের অপরাজিত সেই দুই রানের ইনিংসটি।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩০ ঘণ্টা, জুলাই ০৬, ২০২৩
এএইচএস


   


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।