টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পেলেন এনামুল হক বিজয়। জয় পেল তার দল খুলনাও।
একাডেমি মাঠে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ১০৮ রানে অলআউট হয়ে যায় বরিশাল। রান তাড়ায় নেমে ১৩ বল আগেই জয় পায় রংপুর। পাঁচ ম্যাচের সবগুলোতে জিতে সবার ওপরে আছে তারা।
বরিশালের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ বলে ২৫ রান করেন ওপেনার ইফতেখার হোসেন। এছাড়া ২৪ বলে ১৫ রান আসে কামরুল ইসলাম রাব্বির ব্যাটে। রংপুরের হয়ে ৪ ওভারে ১ মেডেনসহ ৯ রান দিয়ে চার উইকেট নেন আলাউদ্দিন বাবু। দুই উইকেট করে পান আব্দুল গাফফার ও মুকিদুল ইসলাম।
রান তাড়ায় নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ওপেনার তানভীর হায়দারের উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর, ৬ বলে ২ রানে তিনি হন রান আউট।
এরপর ৬০ রানের জুটি হয় নাঈম ইসলাম ও চৌধুরী মোহাম্মদ রিজওয়ানের। ১৭ বলে ১৬ রানে আউট হন নাঈম। তবে হাফ সেঞ্চুরি তুলে নেন রিজওয়ান। ৪৪ বলে ৫৩ রান করে মঈন খানের বলে ক্যাচ দিয়ে আউট হন তিনি। ২৬ বলে ২১ রান করে আব্দুল্লাহ আল মামুন ও ১৪ বলে ১৬ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ শেষ করে আসেন আকবর আলি।
মূল মাঠে ঢাকাকে ২১ রানে হারিয়েছে খুলনা। শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ১৮০ রান করে খুলনা। রান তাড়া করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৫৯ রানের বেশি করতে পারেনি ঢাকা।
শুরুতে ব্যাট করতে নামা খুলনার হয়ে সেঞ্চুরি তুলে নেন ওপেনার এনামুল হক বিজয়। ১১ বলে ১৪ রান করে আউট হন তার সঙ্গী ইমরুল কায়েস, ১৭ বলে ১৮ রান আসে আজিজুল হাকিম তামিমের ব্যাটে। ২ বলে শূন্য রানে রান আউট হন মোহাম্মদ মিঠুনও।
তবে আরেক প্রান্তে টিকে থাকেন বিজয়। ৩৮ বলে নিজের হাফ সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি, ২৮ বলে পান পরের পঞ্চাশের দেখা। ১০ চার ও ৫ ছক্কায় ৬৭ বলে ১০১ রান করে অপরাজিত থাকেন বিজয়। ২৩ বলে ৩৪ রান আসে নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে।
রান তাড়ায় নেমে ঢাকার হয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন তাইবুর রহমান। ৩ চার ও ৫ ছক্কায় ৪১ বলে ৬৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। ২৩ বলে ৪৩ রান করেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনও। তবে তাদের এই রানও যথেষ্ট হয়নি ঢাকার জয়ের জন্য।
বাংলাদেশ সময় : ১৩২৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪
এমএইচবি/এএইচএস