ঢাকা: ভারতের সুপ্রিম কোর্ট থেকে এক ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (১৮ জুলাই) দেশটির সর্বোচ্চ আদালতের এই রায়ে জানানো হয়, বিশ্বের সর্বোচ্চ ধনী ক্রিকেট বোর্ড তার আধিকারিকদের পদে রাজনীতিবিদ, সরকারী কোনো চাকুরিজীবী কিংবা শিল্পপতিকে রাখতে পারবে না।
লোধা কমিটির সুপারিশে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত এই রায় দেয়৷ চলতি বছরের জানুয়ারিতে তিন সদস্য বিশিষ্ট লোধা কমিটি তাদের সুপারিশ দাখিল করেন। দশটি সুপারিশ দিয়েছিল লোধা কমিটি৷ তাতে অনেকটা বিপাকে পড়তে হচ্ছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) নব-নিযুক্ত সভাপতি অনুরাগ ঠাকুরদের। বোর্ড আধিকারিক পদে কেউ নয় বছরের বেশি থাকতে পারবেন না আর তিন বছরের বেশি বোর্ডের কোনো পদে কেউ বহাল থাকতে পারবেন না।
সুপ্রিম কোর্টের রায়ে আরও জানানো হয়, বোর্ডের পদে যারা থাকবেন তাদের বয়স ৭০ বছরের মধ্যে হতে হবে। বিসিসিআইয়ের ম্যানেজিং কমিটিতে থাকবেন কম্পট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনেরাল (সিএজি) মনোনীত এক ব্যক্তি।
রায় কার্যকর করার জন্য বিসিসিআইকে ছয় মাসের সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালতটি। এই সিদ্ধান্ত কার্যকরী করার নির্দেশ দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি টিএস ঠাকুর ও ইব্রাহিম কালিফুল্লাহ।
সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনও করা যাবে না। তবে, রিভিউ পিটিশন দাখিল করা যাবে।
রায়ে লোধা কমিটির সুপারিশ মতো টিভি সম্প্রচার নিয়েও সমস্যায় পড়তে চলেছে বিসিসিআই। কোনো ম্যাচ চলাকালীন এক-একটি ওভারের মাঝে বিজ্ঞাপণ দেওয়া যাবে না বলে রায়ে জানানো হয়। আরও বলা হয়, এখন থেকে বিসিসিআই ও আইপিএলের জন্য আলাদা গভর্নিং বডি থাকতে হবে। আইপিএল পরিচালনা করবে গভর্নিং কাউন্সিল৷ নয় সদস্যের এই কমিটি আদালা ভাবে কাজ করবে।
সুপ্রিম কোর্ট এমন রায় ঘোষণা করার পর বিচারপতি আরএম লোধা জানান, ‘এই রায় ভারতীয় ক্রিকেট ও ক্রিকেটের পক্ষেই থাকছে। ভারতের জন্য এটা একটি ঐতিহাসিক রায়। ক্রিকেটের সমর্থকদের জন্য আজ খুশির দিন। ’
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৯ ঘণ্টা, ১৮ জুলাই ২০১৬
এমআরপি