ঢাকা, মঙ্গলবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ক্রিকেট

সানির পাশে দাঁড়ালেন শাহাদাত

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৩, ২০১৭
সানির পাশে দাঁড়ালেন শাহাদাত ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

আইসিটি আইনে ক্রিকেটার আরাফাত সানির বিরুদ্ধে জনৈক তরুণী যে মামলাটি দায়ের করেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সুষ্ঠ তদন্তের মাধ্যমে বিষয়টির সুরাহা করবে বলে আশা করছেন আরেক ক্রিকেটার শাহাদাত হোসেন রাজীব। তবে শুধু আরাফাত সানিই নন, দেশের সকল ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে এই জাতীয় ঘটনায় আইনের প্রয়োগ আরও সঠিক এবং আরও বিবেচনাপ্রসূত হওয়া বাঞ্ছনীয় বলেও তিনি মনে করেন।

২০১৪ সালে নাজনীন আক্তার হ্যাপির দায়ের করা মামলায় কারাগারে যেতে হয়েছিল পেসার রুবেল হোসেনকে। এর ঠিক পরের বছর ১১ বছর বয়সী গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে নির্যাতনের মামলায় কারাবাস বরণ করেছেন আরেক টাইগার পেসার শাহাদাত হোসেন রাজীব।

‘আমাদের দেশে মামলা করা সহজ হয়ে গেছে। সানির বিষয়টা আমরা সবাই দেখেছি। রুবেলের ক্ষেত্রেও ব্যতিক্রম দেখা যায়নি। হ্যাপির সাথে ওর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু হ্যাপির স্রেফ অভিযোগের প্রেক্ষিতে রুবেলকে ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। পরে কিন্তু সে ঠিকই বেরিয়ে এসেছে। এটা ঘরোয়া ভাবে শেষ করা যেত। মামলা করাটা খুবই আপত্তিকর। ’ জানান শাহাদাত।

শাহাদাত যোগ করেন, ‘একথা ঠিক যে আইন সবার জন্য এক। তবে আমরা যারা সেলিব্রেটি তাদের ক্ষেত্রে আইনের প্রয়োগ যাচাই বাছাই করে তবেই হওয়া উচিৎ। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের দিকে তাকালে দেখবেন, ওখানেও এমন ঘটনা ঘটে। কিন্তু ওদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সঠিক যাচাই বাছাই শেষে তবে তাদের বিচারের আওতায় আনেন। কিন্তু আমাদের দেশে তো যাচাই বাছাই না করেই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়। ’

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) মিরপুর একাডেমি মাঠে ক্রিকেটারদের প্রতি আইনের প্রয়োগ সঠিক হওয়া নিয়ে শাহাদাত এমন মন্তব্য করেন।

২০১৫ সালে ১১ বছর বয়সী গৃহকর্মী মাহফুজা আক্তার হ্যাপিকে নির্যাতনের অভিযোগে কারাবাসে যেতে হয়েছিল এই পেসারকে। ওই সময়ে তিনি হয়তো অনুভব করেছিলেন আইনের প্রয়োগটি আরও তদন্ত নির্ভর হওয়া উচিত ছিল। সেই ভাবনা থেকেই হয়তো তার আজকের এই অনুধাবন।

তবে ক্রিকেটারদের ক্ষেত্রে আইন আরও তদন্ত নির্ভর হওয়া উচিৎ, একথা বলার পাশাপাশি শাহাদাত এই কথাটিও বেশ দৃঢ়তার সাথেই বলেছেন যে তিনি নিজে, রুবেল হোসেন ও আরাফাত সানি যে ঘটনা ঘটিয়েছেন তা দেশের ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করেছে।

‘এ ধরনের ঘটনা আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে। কেননা পুরো বিশ্বেই ক্রিকেটারদের সবাই পছন্দ করে। বিশেষ করে আমাদের দেশে ক্রিকেটই যেখানে এই মুহূর্তে সবচেয়ে জনপ্রিয় সেখানে এ ধরনের ঘটনা খুবই আপত্তিকর। তাছাড়া দেশের অধিকাংশ মানুষ আমাদেরই আইডল মনে করে। যখনই আমরা এ ধরনের কাজে লিপ্ত হই তখন দেশের পুরো ক্রিকেটারদের উপরে একটি বাজে প্রভাব আসে। আমি নিজেও এর ভুক্তভোগী। ’

এই জাতীয় ঘটনা থেকে আগামীর ক্রিকেটাররা শিক্ষা নিয়ে তারা সতর্ক পদক্ষেপ নেবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে বেশ সাবলীলভাবে শাহাদাত জানান, ‘প্রেম অনেকেই করেছে। আমরাও করেছি, কিন্তু সেটা বুঝে শুনে। তবে রুবেল ও সানির এ ঘটনা থেকে অনেক ক্রিকেটাররাই শিক্ষা নেবে। এগুলো শুনতেও খারাপ লাগে। তাই ক্রিকেটাররা যখনই এধরনের পদক্ষেপ নেবে তাদের বুঝে শুনে নিতে হবে, যাতে করে আমাদের ক্রিকেট বোর্ড নিন্দিত না হয়। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭৫২ ঘণ্টা, ২৩ জানুয়ারি ২০১৭
এইচএল/এমআরপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।