চট্টগ্রাম: ‘তোমাদের জীবনের বসন্ত চলছে এখন। এ বয়সে নজরুল ইসলাম বিদ্রোহী কবিতা লিখেছেন।
সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের আয়োজনে ও মহিলা কলেজ চট্টগ্রামের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক গ্রন্থপাঠ কার্যক্রমের বই বিতরণ অনুষ্ঠানে ছাত্রীদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন কেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুর।
তিনি বলেন, আমরা ২০০ ছাত্রীর হাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী তুলে দিয়েছি। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে শিক্ষার্থীরা যেন বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে বিশদ জানতে পারেন। বিশেষ করে একজন বাঙালি ৫৫ বছর বয়সে কীভাবে জাতির পিতা হলেন সেটি জানতে পারেন। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে তারা বড় হতে পারেন।
তিনি জানান, চারটি বিভাগের চারটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আটশ’ ছাত্রছাত্রীকে এ কর্মসূচির আওতায় বই বিতরণ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ময়মনসিংহের মুক্তগাছার নগেন্দ্র নারায়ণ পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম দশম শ্রেণির ২০০ ছাত্রীকে বই বিতরণ করা হয়েছে। চট্টগ্রামের এনায়েত বাজার মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ২০০ ছাত্রীকে বই দেওয়া হলো। এরপর ভোলায় একটি কলেজের ২০০ ছাত্র-ছাত্রীকে বই দেওয়া হবে। গাজীপুরে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রদের বই দেওয়া হবে। ফেব্রুয়ারি মাসে বিতরণ করা বইয়ের ওপর ১৬ মার্চের মধ্যে পরীক্ষা নেওয়া হবে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১০ জন বিজয়ীকে পুরস্কার এবং অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হবে। ভাষার মাসে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি শেষ হবে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে।
মহিলা কলেজ চট্টগ্রামের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা রেজাউল করিম চৌধুরী। অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) সোহানা শরমিন তালুকদারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য রাশেদ মনোয়ার এবং সমাজসেবক জামশেদুল আলম চৌধুরী। বক্তব্য দেন উপাধ্যক্ষ ইলোরা ইসলাম।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে সোনার বাংলা গড়ার লড়াইয়ে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, পাঠ্যপুস্তক পড়ে ভালো ফলাফল করা যায় কিন্তু প্রকৃত জ্ঞান অর্জন করতে হলে বড় মানুষদের আত্মজীবনী পড়তে হবে। সমগ্র বিশ্বে একমাত্র বাঙালিই এমন একটি গর্বিত জাতি যারা মায়ের ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে বুকের রক্ত ঢেলে দিয়েছিলো। সব জাতিই চায় মাতৃভাষার স্বীকৃতি। তাই বিশ্বসভায় ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এটা বাঙালির একটি মহতী অর্জন।
তিনি বলেন, সমাজে যারা ভালো কাজ করে তাদের আমরা ভুলে যাই কিন্তু প্রকৃতি তাদের ভুলে না। শিক্ষার্থীদের উচিত বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়ে জ্ঞান অর্জন করে কর্মজীবনে দেশ গড়ার কাজে লাগাতে হবে।
অনুষ্ঠানে মিনার মনসুর তাঁর নিজের লেখা ‘বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব: স্বপ্ন ও স্বরূপ’ এবং বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো রেজাউল করিম চৌধুরীকে উপহার দেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩
এআর/পিডি/টিসি