চট্টগ্রাম: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি মন্ডলীর সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অনেক স্মৃতিকথা আছে। তবে তার স্মৃতি চিহ্নগুলো আমরা ধরে রাখতে পারি নি।
মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) একুশের প্রথম প্রহরে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মিউনিসিপ্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত আলোকচিত্র প্রদর্শনী উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, একুশের প্রথম প্রহরে এমনি একটি আয়োজন আমাকে স্মৃতি কাতর করেছে। কারণ আমি ভাষার জন্য লড়েছি এবং মুক্তিযুদ্ধও করেছি। আমার নেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে তার জন্য অনন্য সম্মান দিয়েছেন। এই সম্মান আপনাদেরও অর্জন করতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, আমার যতই বলি না কেন আমরা ভালো আছি কিন্তু মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। এই কষ্টের জন্য দায়ী করোনাকাল ও একটি ঘটনমান যুদ্ধ। এই যুদ্ধ থামাতে শেখ হাসিনা শান্তির জন্য লড়ছেন।
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ইতিহাস কথা কয়, তবে ইতিহাসকে না খুঁজলে আমরা ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হব। নতুন প্রজন্ম যাতে বাঙালির ইতিহাসকে জানে বঙ্গবন্ধুকে জানে সেজন্যই আমাদেরকে কিছু কাজ করে যেতে হবে। আমরা ক্ষমতায় আছি এটি অহংকার নয়, এটি আমাদের দায়বোধ। এই দায়বোধ থেকেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আবার দরকার শেখ হাসিনা সরকার।
এর আগে একুশের প্রথম প্রহরে শহীদদের স্মরণে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের মহান একুশে উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান মালায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি নঈম উদ্দীন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, সফর আলী, শেখ মোহাম্মদ ইছহাক, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, অ্যাডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, আবু তাহের, আব্দুল আহাদ, ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরী, নির্বাহী সদস্য বখতেয়ার উদ্দীন খান, ইঞ্জিনিয়ার বিজয় কৃষাণ চৌধুরী, আব্দুল লতিফ টিপু, জাফর আলম চৌধুরী, মো. জাবেদ, ড. নেছার উদ্দীন আহমেদ মঞ্জু, হাজী বেলাল আহমদ প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩
এমআর/টিসি