চট্টগ্রাম: দেশের অন্যতম শিল্পগোষ্ঠী পিএইচপি ফ্যামিলির কর্ণধার সুফি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। সুফি ভাবধারার সাদামাটা জীবনযাপন দেশের শীর্ষস্থানীয় এ শিল্পপতিকে করেছে অনন্য।
স্বাধীনতার পর ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে দিয়ে চট্টগ্রামে ব্যবসা শুরু করেন সুফি মিজানুর রহমান। এরপর পাঁচ দশকে নিজের হাতে একে একে গড়েছেন ৩৩টি প্রতিষ্ঠান। প্রায় ১০ হাজার মানুষ বর্তমানে এসব প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন। পিএইচপি গ্রুপ বর্তমানে বছরে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা লেনদেন করে। প্রতি বছর সরকারি কোষাগারে জমা দেয় হাজার কোটি টাকা। ব্যবসার পাশাপাশি ইউআইটিএস নামে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ও চালাচ্ছে পিএইচপি পরিবার।
সুফি মিজানুর রহমান ২০১৮ সালের ৪ জানুয়ারি থেকে ইন্দোনেশিয়ার অনারারি কনসাল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর সন্তানদের মধ্যে তিনজন আরও তিনটি দেশের অনারারি কনসালের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন।
শুরুটা হয় সুফি মিজানের বড় ছেলে মোহাম্মদ মহসিনকে দিয়ে। ২০১৫ সালের ৩ মার্চ গাজীপুরে কোরিয়ার অনারারি কনসাল হিসেবে দায়িত্ব নেন তিনি। এরপর ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারি ঢাকায় রুয়ান্ডার অনারারি কনসাল হিসেবে দায়িত্ব নেন মেঝ ছেলে মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন। সর্বশেষ গত ১৫ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে মালয়েশিয়ার অনারারি কনসাল হিসেবে নিযুক্ত হন সুফি মিজানের আরেক ছেলে মোহাম্মদ আকতার পারভেজ হিরু।
সুফি মিজানুর রহমানের বড় ছেলে মোহাম্মদ মহসিন সুফি সংগীতের সাধক। আরেক ছেলে আকতার পারভেজ হিরু তরুণ উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ী। তাঁর হাত ধরে বাংলাদেশে প্রোটনের মতো বিশ্বজয়ী ব্রান্ডের গাড়ি সংযোজন শুরু হয়।
মোহাম্মদ মহসিন বলেন, ‘আমাদের পরিবারের আমরা চারজন চারটি দেশে নিজ দেশের পতাকা বহন করছি। এটা যেমন সম্মানের তেমনি অনেক দায়-দায়িত্বেরও’।
চট্টগ্রামে মালয়েশিয়ার অনারারি কনসাল মোহাম্মদ আকতার পারভেজ হিরু বলেন, এমন দায়িত্ব দেশের জন্য দেশের বাইরেও কাজের সুযোগ প্রসারিত করে। দেশের বাইরেও নিজ দেশের পতাকা বহন করে দেশের জন্য কাজ করার সুযোগ পেয়েছি। দেশের মানুষের কল্যাণে সেই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি’।
বাংলাদেশ সময়: ১১৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২৩
এসি/টিসি