ঢাকা, শনিবার, ৬ পৌষ ১৪৩১, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

চট্টগ্রাম প্রতিদিন

দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে কর্মমুখী শিক্ষার প্রয়োজন

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে কর্মমুখী শিক্ষার প্রয়োজন

চট্টগ্রাম: পরিকল্পিতভাবে মানবসম্পদ উন্নয়ন দেশের অর্থনৈতিক ভিতকে মজবুত করে। চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে কারিগরি শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে।

দেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজন রীতিবদ্ধ ও সুসংগঠিত শিক্ষা ব্যবস্থাপনা; যেখানে তাত্ত্বিক, প্রায়োগিক জ্ঞান অর্জন, দান খুব জরুরি।  

শনিবার (২১ ডিসেম্বর) ‘বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কেমন মানবসম্পদ চাই’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেছেন বক্তারা।

 

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার ফর বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিইউসিবিএ) অ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সুলতান আহমেদ হলে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

সিইউসিবিএ এর অ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, যমুনা ব্যাংকের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস. এম. নসরুল কদির, সিইউসিবিএ’র পরিচালক ড. মোহাম্মাদ তৈয়ব চৌধুরী, সিইউসিবিএ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সজীব কুমার ঘোষ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আফতাব উদ্দিন ।  

আলোচনায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম-সম্পাদক কামরুল হাসান হারুন, কনফিডেন্স সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জহির উদ্দিন, সাউথ ইষ্ট ব্যাংক চট্টগ্রাম জোনাল হেড মো. রাশেদুল আমিন, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের এজিএম আরিফ আহমেদ, বিএসআরএম গ্রুপের সাপ্লাই চেইন বিভাগের প্রধান সঞ্জয় কুমার ঘোষ, একে খান অ্যান্ড কোম্পানির মানব সম্পদ বিভাগের একেএম মাফরুল হক, হাইডেল্ডবার্গ সিমেন্টের মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান আরিফুর রহমান, ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা নোমান বিন জহির উদ্দিন, ইপসার মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান গাজী মো. মাইনুদ্দিন প্রমুখ।  

উদ্বোধনী বক্তব্যে চবির ব্যবসা প্রশাসন অনুষদের ডিন অধ্যাপক এস. এম. নসরুল কদির বলেন, রাতারাতি আমরা সবকিছু পরিবর্তন করতে পারবো না। আমার বিশ্বাস আমাদের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে যাবে। অ্যাকাডেমিক ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিল্ডের জন্য তাদের তৈরি করতে হবে। বর্তমান পৃথিবীকে আমরা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা এ আইয়ের যুগ বলছি। এজন্যই শিক্ষার্থীদের আরও বেশী দক্ষ হয়ে উঠতে হবে।

বসুন্ধরা গ্রুপের উপ-মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আরিফ উল্লাহ বলেন, আমাদের কারিকুলাম আপডেট করতে হবে। আমরা এখনো ৯০ সালের কারিকুলামে পড়াশোনা করাই। আমরা কি ধরনের স্কিল চাই সেটা বুঝতে হবে। আমাদের কমিউনিকেশন স্কিল এবং অ্যানালাইটিক্যাল স্কিল নিয়ে কাজ করতে হবে।  
দৈনিক বণিক বার্তার চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান রাশেদ এইচ চৌধুরী বলেন, পৃথিবীতে তিনটা তত্ত্ব ব্যবহার করে দেশগুলো উন্নতির শিখরে উঠেছে। একটি হলো প্রাকৃতিক সম্পদ, দ্বিতীয়ত প্রযুক্তিগত জ্ঞান-বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে। এছাড়া আরেকটি তত্ত্ব  হলো মানবসম্পদ উন্নয়ন। পৃথিবীর অনেক দেশ শুধুমাত্র মানবসম্পদ দিয়ে এগিয়ে গেছে।  

এসময় বক্তারা বলেন, যোগাযোগ দক্ষতা, কম্পিউটার দক্ষতা, নৈতিকতা, বিশ্লেষণ ক্ষমতা, সব সেক্টরে নিজেকে খাপ খাওনোর মতো মানসিক শক্তি থাকতে হবে উচ্চ শিক্ষা গ্রাহণকারী শিক্ষার্থীদের। আমাদের দেশে একটি উচ্চ শিক্ষিত প্রজন্ম তৈরি হয়েছে। তবে দক্ষ মানবসম্পদ নেই। এজন্য পাশ্ববর্তী দেশ ভারত ও শ্রীলঙ্কা থেকে অভিজ্ঞদের নিয়ে এসে বিশাল অঙ্কের বেতন দিয়ে রাখতে হচ্ছে। ভারত-শ্রীলঙ্কার মানুষরা যদি পারে, আমরা কেন পারবো না!

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সিইউসিবিএ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা এনামুল হক,  এবিএম শিহাব উদ্দিন, সহ সভাপতি আমিনুল ইসলাম, মিজানুর রহমান, সেমিনার ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মহিউদ্দিন রিয়াদ, দপ্তর সম্পাদক মোজাফ্ফর হোসেন রাহাত প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৩৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২১, ২০২৪
এমআর/টিসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।