চট্টগ্রাম: দেশের সবচেয়ে বড় রাজস্ব আদায়কারী প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কাস্টমস কর্মকর্তারা ব্যবসায়ী, শিল্পোদ্যোক্তা ও সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের হয়রানি করা ও কাজের পরিবেশ না থাকায় বুধবার সকাল ১০টা থেকে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করছেন না সংশ্লিষ্টরা।
চিটাগাং কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন বাচ্চু বেলা পৌনে ১টায় বাংলানিউজকে বলেন, কাস্টম হাউসের কর্মকর্তারা পদে পদে আমাদের হয়রানি করছেন। এখানে কাজের পরিবেশ নষ্ট হয়ে গেছে।
ক্ষুব্ধ কণ্ঠে তিনি বলেন, কাস্টম হাউসে সরকারবিরোধী একশ্রেণির কর্মকর্তা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। তারা বুঝতে চান না কাঁচামালের অভাবে একটি কারখানার হাজার হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়বেন, নির্ধারিত সময়ে পণ্য রপ্তানি হবে না, অভ্যন্তরীণ বাজারে সরবরাহ চেনে বিঘ্ন ঘটবে। আমরা কাস্টমস কর্মকর্তাদের বোঝাতে চেষ্টা করেও বিফল হচ্ছি।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যত দিন কাজের পরিবেশ সৃষ্টি না হবে তত দিন আমরা বিল অব এন্ট্রি দাখিল করবো না। আমাদের বক্তব্য অত্যন্ত সুস্পষ্ট, কাস্টমস কর্মকর্তারা যদি চান তো শতভাগ চালানই পরীক্ষা করুক আপত্তি নেই। কিন্তু পরীক্ষার নামে পদে পদে হয়রানি, অন্যায্যভাবে সময়ক্ষেপণ চলবে না।
এদিকে কাস্টম হাউসে অচলাবস্থায় বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা উদ্বেগ জানিয়েছেন। তারা বলছেন, বিল এন্ট্রি দাখিলে দেরি হলে পর্যায়ক্রমে আমদানি পণ্য খালাস প্রক্রিয়া দীর্ঘতর হবে। এতে বন্দরে কনটেইনার জটের যেমন শঙ্কা আছে তেমনি খরচও বেড়ে যাবে।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইর সহসভাপতি ও চিটাগাং চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম বাংলানিউজকে বলেন, কাস্টম হাউসের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে অচলাবস্থা সৃষ্টি হওয়াটা দুঃখজনক। আমরা বিশ্বাস করি, আলোচনার মাধ্যমে সব সমস্যার সমাধান সম্ভব। এক্ষেত্রে দুপক্ষকেই এগিয়ে আসতে হবে। নয়তো ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, আমদানি-রপ্তানিতে নেচিবাচক প্রভাব পড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৫
এমইউ/এআর/টিসি